মালাবদলের মুহূর্ত (বাঁ দিকে)। পরচুলা খুলে যাওয়ার পর পাত্র (ডান দিকে)।
বরের মাথায় চুল নেই বলে বিয়ের মঞ্চেই বিয়ে ভেঙে দিলেন পাত্রী। ঘটনাকে ঘিরে দু’পক্ষের মধ্যে হুলুস্থুল কাণ্ড। শেষমেশ পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ের।
শুক্রবার রাতে দিল্লি থেকে উন্নাওয়ের সফীপুরে বিয়ে করতে এসেছিলেন পঙ্কজ। পাত্রীর বাড়িতে জাঁকজমক করে বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। মালাবদলের জন্য হাইড্রোলিক মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল। সেই মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন পাত্র এবং পাত্রী। মঞ্চটি ঘুরছিল, আর তাতে মালাবদলের পালাও চলছিল। মালাবদল শেষে দু’জনে মঞ্চ থেকে নামতেই হঠাৎ জ্ঞান হারান পঙ্কজ। এমন কাণ্ডে হুলুস্থুল পড়ে যায় বিয়েবাড়িতে। উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন পঙ্কজের নববিবাহিত স্ত্রীও।
পঙ্কজকে ধরাধরি করে শোয়ানো হয়। তাঁকে সুস্থ করার জন্য চোখেমুখে জলও দেওয়া হয়। পঙ্কজকে সুস্থ করতে যখন সকলেই ব্যস্ত, তাঁর স্ত্রী-ও সেখানে আসেন। পঙ্কজের মাথায় হাত বোলাতে থাকেন। কিন্তু তার পরের ঘটনার জন্য একেবারেই প্রস্তুত ছিলেন কেউ। পঙ্কজের স্ত্রী যখন তাঁকে সুস্থ করতে মাথায় হাত বোলাচ্ছিলেন, হঠাৎই পঙ্কজের পরচুলা খুলে তাঁর হাতে উঠে আসে। মুহূর্তেই পরিস্থিতি গরম হয়ে ওঠে।
স্বামীর মাথায় টাক, এটা মেনে নিতে পারেননি স্ত্রী। চিৎকার করে বলতে থাকেন, এ বিয়ে তিনি ভেঙে দিতে চান। অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে পাত্রপক্ষ। পাত্রীপক্ষের তরফে প্রতারণার অভিযোগ তোলা হয়। তাঁদের অভিযোগ, সম্বন্ধ করার সময় বিষয়টি লুকিয়ে গিয়েছিল পাত্রের পরিবার। বিয়েবাড়িতে যখন বিষয়টি নিয়ে হুলুস্থুল চলছে, তখন অতিথিরাই পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দু’পক্ষকে বোঝানোর চেষ্টা করে। কিন্তু পাত্রীকে তাঁর সিদ্ধান্ত থেকে টলানো যায়নি। শেষমেশ পুলিশের সহযোগিতায় বিয়ে মাঝপথে ছেড়েই চলে যেতে হয় পঙ্কজকে।