— প্রতীকী ছবি।
গ্রেটার নয়ডার ছেলের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে তেলঙ্গানার সেকেন্দ্রাবাদের মেয়ের। বিয়ের আসরেই বিপত্তি। অসহ্য পেটের যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে নববধূ। তাঁকে দেখে চিকিৎসকেরা যা বললেন, তা শুনে হতবাক ছেলের বাড়ির লোকেরা। নববধূ অন্তঃসত্ত্বা। বাসি বিয়ের দিন সন্তানের জন্ম দিলেন তরুণী। যদিও তার পর দিনই বিয়ে ভাঙল নবদম্পতির।
গত ২৬ জুন ধুমধাম করে বাড়ির ছেলের বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বিয়ে উপলক্ষে বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন আত্মীয়-স্বজনেরা। বিয়ের রাতেই অসহ্য পেটে যন্ত্রণা নববধূর। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকেরা জানান, নববধূ সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। পর দিন কন্যাসন্তানের জন্ম দেন।
মেয়ের বাড়ির দাবি, তাঁরা বিষয়টি জানতেন। কিন্তু মেয়ের মুখের দিকে চেয়ে ছেলের বাড়ির কাউকে তা জানাতে পারেননি। যদিও তরুণীকে দেখে সন্দেহ হয়েছিল ছেলের বাড়ির লোকেদের। পেট ফোলা কেন? তখন মেয়ের বাড়ির তরফ থেকে জানানো হয়, ক’দিন আগেই অস্ত্রোপচার করে পেট থেকে পাথর বার করা হয়েছে। তাই চিকিৎসক যখন ছেলের বাড়ির লোকেদের জানান, তরুণী সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা, তা শুনে হতবাক হয়ে যান তাঁরা।
যদিও এ ব্যাপারে পুলিশে অভিযোগ জানায়নি ছেলের বাড়ি। তবে বিয়েও টেকেনি। বিয়ের পরেই সদ্যোজাত সন্তানকে নিয়ে সেকেন্দরাবাদের বাড়ি ফিরে গিয়েছেন তরুণী। কারণ, বিয়ে মানতে আপত্তি ছেলের মা, বাবার। ছেলেও স্ত্রীকে মানতে চাননি। স্থানীয় দানকাউর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সঞ্জয় সিংহ জানিয়েছেন, তাঁরা এ বিষয়ের খবর পেয়েছেন। কিন্তু কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।