National News

রাজ্যপালের আস্থা ভোটের নির্দেশ ‘সঠিক’ ছিল, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে স্বস্তি শিবরাজের

মামলায় কমল নাথ দাবি করেছিলেন, বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীন রাজ্যপাল আস্থা ভোটের নির্দেশ দিতে পারেন না। এই দবি খারিজ করেছে শীর্ষ আদালত।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২০ ১৬:০৩
Share:

কমল নাথ (বাঁ দিকে) ও শিবরাজ সিংহ চৌহান। —ফাইল চিত্র

সুপ্রিম কোর্টের রায়ে স্বস্তি পেলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান। অন্য দিকে ধাক্কা খেল কমল নাথ শিবির। সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ সরকারকে রাজ্যপাল লালজি টন্ডন যে আস্থা ভোটের নির্দেশ দিয়েছিলেন, তা বৈধ ছিল বলে সোমবার রায় দিল শীর্ষ আদালত। কমল নাথের আর্জি খারিজ করে বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ জানিয়ে দিল, রাজ্যপালের সিদ্ধান্ত ‘সঠিক’ ছিল।

Advertisement

জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বিদ্রোহী হয়ে ২২ কংগ্রেস বিধায়ক নিয়ে কংগ্রেস ছাড়েন। এর জেরে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় কংগ্রেস সরকার। তার পরেই বিধানসভায় আস্থা ভোটের মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দেওয়ার নির্দেশ দেন রাজ্যপাল লালজি টন্ডন। কিন্তু সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ। সুপ্রিম কোর্টও আস্থা ভোটের নির্দেশ দেওয়ার পর হত ২০ মার্চ ইস্তফা দেন কমল। তার পর মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নেন শিবরাজ।

সুপ্রিম কোর্টের মামলায় কমল নাথ দাবি করেছিলেন, বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীন রাজ্যপাল আস্থা ভোটের নির্দেশ দিতে পারেন না। কিন্তু কমল নাথের সেই আর্জি খারিজ করে দিয়ে বিচারপতি চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘‘মামলার ঘটনাক্রম অনুযায়ী রাজ্যপাল আস্থা ভোটের সঠিক নির্দেশই দিয়েছিলেন।’’ ১৯৯৪ সালে এই সংক্রান্ত একটি মামলায় বিচারপতি এসআর বোম্মাইয়ের বেঞ্চ রায় দিয়েছিল, মুখ্যমন্ত্রী আস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে না চাইলে প্রাথমিক ভাবে এটা প্রমাণিত হয় যে বিধানসভায় তাঁর উপর আস্থা নেই। ৬৮ পাতার রায়ে এ দিন বিচারপতি বোম্মাইয়ের সেই রায়কেও উল্লেখ করেছে বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ।

Advertisement

আরও পড়ুন: লকডাউন কোথায়, কতটা ছাড়, কাল জানাবেন প্রধানমন্ত্রী

আরও পড়ুন: কাজ নেই=পয়সা নেই, আকালের ভয়াল সঙ্কেতে দিলীপ মাঝির বৃত্তান্ত

২০১৮ সালে বিধানসভা নির্বাচনে মধ্যপ্রদেশে ২৩০ আসনের মধ্যে ১১৪টি আসন পায় কংগ্রেস। বিজেপির দখলে ছিল ১০৯টি আসন। চার নির্দল, এক জন সমাজবাদী পার্টি ও দু’জন বহুজন সমাজ পার্টির বিধায়কের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করে কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী হন কমল নাথ। কিন্তু ১৫ মাসেই কমল নাথ সরকারের পতন হয় ২২ বিধায়ক নিয়ে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বিজেপিতে যোগ দেওয়ায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement