মঞ্চে তখন বসে আছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রধান মোহন ভাগবত। আমেরিকার শিকাগোয় বিশ্ব হিন্দু কংগ্রেসের এই সভার দর্শকাসন থেকে হঠাৎ শোনা গেল প্রতিবাদী গলা। দেখা গেল, হাতে পোস্টার নিয়ে স্লোগান দিচ্ছেন একাধিক মহিলা। সঙ্গে সঙ্গেই ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান দিতে দিতে অন্য দর্শকদের একটা বড় অংশ ঘিরে ফেলল তাঁদের। শুরু হল ধস্তাধস্তি।
গত কালের এই ঘটনায় পাঁচ মহিলা-সহ ছ’জন প্রতিবাদীকে মারধরের পাশাপাশি তাঁদের গলা টিপে ধরা এমনকি পুলিশের সামনেই গায়ে থুতু ছেটানোর অভিযোগ উঠেছে। দু’জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়। তবে তাঁদের থুতু দেওয়ার অভিযোগেও গ্রেফতার করা হয়েছে এক জনকে। বিক্ষোভকারীরা ‘শিকাগো সাউথ এশিয়ানস ফর জাস্টিস’ নামে ফ্যাসিবাদ-বিরোধী একটি সংস্থার সদস্য। ঘটনাটির ভিডিয়ো ফেসবুকে দিয়েছে তারাই।
সংস্থাটির অভিযোগ, ধর্মীয় ও সামাজিক সংখ্যালঘুদের উপরে জুলুমে মদত দিচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী-সহ বিজেপি নেতারা। বিশ্ব হিন্দু কংগ্রেস আদপে হিন্দু মৌলবাদ ছড়াচ্ছে (এই সম্মেলনেই শর্মিলা ঠাকুর এবং মনসুর আলি খান পটৌডির বিয়েকে ‘লাভ জিহাদ’ তকমা দিয়েছেন এক নেতা)। এক বিক্ষোভকারীর কথায়, ‘‘আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবেই ফ্যাসিবাদ-বিরোধী স্লোগান দিচ্ছিলাম। চিৎকার করতে করতে চেয়ারে আমাদের ঠেসে ধরল কয়েকটা লোক। ‘নোংরা মুসলিম’ বলে গালি দিয়ে খুনের হুমকি দিল। মুখে ঘুসি, পিছনে লাথি মারল। তার পর বাইরে যখন আমি হাতকড়া পরে দাঁড়িয়ে, তখন পুলিশের সামনেই মুখে থুতু দিল।’’ আর এক বিক্ষোভকারীর অভিযোগ, তাঁকে চেয়ার ছুড়ে মারা হয়েছে।