প্রতীকী ছবি।
একটি ধর্মগ্রন্থ থেকে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রটি শিক্ষা পেয়েছিল পরোপকার করা পুণ্যের কাজ। গুরুজনদের কাছে থেকেও একই শিক্ষা পেয়েছিল ছোট্ট ছেলেটি। কিন্তু পরোপকারের ধরনটা বুঝতে একটু গুলিয়ে ফেলেছিল সে। আর সে কারণেই বেধড়ক মারা হল তাকে। হায়দরাবাদের ঘটনা।
ঠিক কী হয়েছিল?
টিউশন পড়ে বাড়ি ফিরছিল ছেলেটি। পথে অশোক নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা হয়। তিনি ছেলেটির হাতে দ্রুত একটি চিঠি গুঁজে দিয়ে একটা বাড়ি দেখিয়ে দেন। বলেন, ওই বাড়ির মহিলার হাতে চুপি চুপি চিঠিটা দিয়ে আসতে। নিষ্পাপ ছেলেটি জানতও না এই চিঠি দেওয়ার পরিণতি কী হতে পারে! কিন্তু এই কাজটিকেই সে ‘পরোপকার’ বলেই ভেবে নিয়েছিল। চিঠি নিয়ে ওই বাড়িতে পৌঁছে, মহিলার স্বামী ও তাঁর ভাইয়ের সামনে পড়ে যায় সে। ছেলেটিকে প্রশ্ন করায় সে সত্যি কথা বলে যে অশোক নামে ওই ব্যক্তি এই চিঠিটি দিতে বলেছে। ছেলেটির এই কথা শুনে রেগে অগ্নিশর্মা হয়ে যান মহিলার স্বামী দুর্গাপ্রসাদ ও তাঁর ভাই। বেধড়ক মারেন ছেলেটিকে। স্থানীয় বাসিন্দারা এসে উদ্ধার করেন তাকে।
ছেলেটিকে মারধর করার অভিযোগে দুর্গাপ্রসাদ ও তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে পুলিশ। অভিযোগ দায়ের করা হয়, অশোক নামে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধেও। পুলিশ জানিয়েছে, অশোক নামে ওই ব্যক্তি মহিলাকে বিয়ের আগে থেকেই চিনতেন।
আরও খবর...