বম্বে হাই কোর্ট।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরও সেরা চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার আছে বলে জানাল বম্বে হাই কোর্ট। নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)-র সদস্য হওয়ার অপরাধে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত প্রাক্তন সাংবাদিক প্রশান্ত রবির চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগের মামলায় আদালত এ কথা জানিয়েছে।
বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনে (ইউএপিএ) ২০১৭ সালে যাবজ্জীবন জেলের সাজা হয়েছিল রবির। তারও কয়েক বছর আগে থেকে জেলবন্দি তিনি। বর্তমানে তাঁর বয়স ৬৩ বছর। রবির মেয়ে শিখা বম্বে হাই কোর্টের নাগপুর বেঞ্চে বাবার যথাযথ চিকিৎসার আবেদন জানিয়েছিলেন। তিনি অভিযোগ করেন, পাকস্থলীতে গুরুতর সমস্যা থাকলেও মহারাষ্ট্রের অমরাবতী জেল কর্তৃপক্ষ রবিকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখানোর সুযোগ দিচ্ছেন না।
তারই প্রেক্ষিতে সংবিধানের ২১ নম্বর ধারার উল্লেখ করে জেলবন্দিদের মানবাধিকারের কথা জানিয়েছে আদালত। বলেছে, কাউকে যে কারণেই আটক রাখা হোক না কেন, ভারতীয় সংবিধান সাজাপ্রাপ্ত বন্দিরও চিকিৎসা পাওয়া-সহ অন্যান্য মানবিক অধিকার সুরক্ষিত করার কথা বলে।
বস্তুত, কয়েদিদের মানবাধিকারের বিষয়ে পরাধীন ভারতের আইনেও (১৮৯৪) বন্দিদের জীবনের অধিকার সুরক্ষিত করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু আইন লঙ্ঘনের ধারাটিও নিরবচ্ছিন্ন বলে অভিযোগ। গত বছর মহারাষ্ট্রের জেলেই মাওবাদী সংশ্রবের অভিযোগে ধৃত স্ট্যান স্বামীর চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে, ধৃত তেলুগু কবি তথা সমাজকর্মী ভারভারা রাওয়ের চিকিৎসায় গাফিতলির অভিযোগও।