স্ট্যান স্বামী। ফাইল চিত্র।
জেলে ক্রমশ অবস্থার অবনতি হচ্ছিল। তা সত্ত্বেও মেলেনি জামিন। তবে স্ট্যান স্বামীর মৃত্যুর পরে এ বার তাঁকে শ্রদ্ধা জানালেন বিচারপতিরাও। ভীমা কোরেগাঁও-এলগার পরিষদ মামলায় মাওবাদী যোগের অভিযোগে স্ট্যানকে গ্রেফতারের পরে বম্বে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এই জেসুইট পাদ্রি। সেই মামলার মরণোত্তর শুনানিতে অভিযুক্ত স্ট্যানকে দুর্দান্ত মানুষ বলে উল্লেখ করলেন বিচারপতিরা।
বিচারপতি এস এস শিন্ডে আজ স্ট্যানের বিষয়ে বলেন, ‘‘দুর্দান্ত মানুষ ছিলেন। সমাজের জন্য উনি যা করেছেন, সে জন্য ওঁর প্রতি আমাদের সম্মান রয়েছে। আইনত, তাঁর বিরুদ্ধে যা অভিযোগ, তা আলাদা বিষয়... সাধারণত টিভি দেখার সুযোগ মেলে না, কিন্তু ওঁর শেষকৃত্যের অনুষ্ঠান দেখেছি। যা খুবই মর্যাদাপূর্ণ।’’
স্ট্যানের মৃত্যুর পরে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এবং বিচারব্যবস্থার বিরুদ্ধে যে সমালোচনা হয়েছিল, তা-ও উল্লেখ করে বিচারপতি শিল্ডে ও বিচারপতি এন জে জমাদারের বেঞ্চ। এর পাশাপাশি মুক্তির অপেক্ষায় দিন গুনতে থাকা বন্দিদের কারাগারেই মৃত্যু নিয়ে দুঃখপ্রকাশও করেছে আদালত। স্ট্যানের আইনজীবী মিহির দেশাইকে আদালত জানিয়েছে, শারীরিক অবস্থার উল্লেখ করে জামিনের আবেদন জানিয়ে ২৮ মে স্ট্যান আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। ‘‘আমরা তাঁর আবেদন শুনেছি, কখনও ফিরিয়ে দিইনি।’’ এর পাশাপাশি স্ট্যানের আইনজীবীকে বিচারপতিরা বলেন, ‘‘বিচারাধীন বিষয় নিয়ে আপনাদের কোনও অভিযোগ ছিল না। আদালতে যার রেকর্ডও রয়েছে।’’
বিচারব্যবস্থার সমালোচনার প্রেক্ষিতে হাই কোর্ট জানিয়েছে, আর এক অভিযুক্ত ভারাভারা রাওকে জামিন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই বিষয়টি কেউ উল্লেখ করছে না। ভারাভারার সঙ্গে তাঁর পরিজনের সাক্ষাতের অনুমতিও দেওয়া হয়েছিল মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে। আর এক অভিযুক্ত হ্যানি বাবুর ইচ্ছেকে মর্যাদা দিয়ে ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তির নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু স্ট্যানের ক্ষেত্রে কারও পক্ষে আগাম অনুমান হয়নি যে, জেলবন্দি থাকাকালীনই তাঁর মৃত্যু হবে। গোটা বিষয়টিকে দুর্ভাগ্যজনক বলেও উল্লেখ করেছে আদালত।