—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
নাবালিকাকে ধর্ষণে অভিযুক্ত এক যুবককে জামিন দিল বম্বে হাই কোর্ট। আদালতের যুক্তি, ‘নির্যাতিতা’র সঙ্গে ‘অভিযুক্ত’ যুবকের প্রণয়ঘটিত সম্পর্ক ছিল এবং তাঁদের যৌন সম্পর্ক হয় ভালবাসার সূত্রে। সেখানে যৌন লালসা বা কামনা ছিল না। এই পর্যবেক্ষণের পরেই নিতিন ধাবেরাও নামে ২৬ বছরের অভিযুক্তকে জামিন দিয়ে দিয়েছে বম্বে হাই কোর্টের নাগপুর বেঞ্চ।
নিতিনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন ‘নির্যাতিতা’ নাবালিকার বাবা। অভিযোগ, ২০২০ সালের ২৩ অগস্ট তাঁর নাবালিকা কন্যার উপর যৌন নির্যাতন করেন ওই যুবক। পুলিশের কাছে নাবালিকার বাবা জানান, বই কেনার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল কন্যা। কিন্তু তার পর আর বাড়ি ফেরেনি। প্রথমে নিখোঁজ ডায়েরি হয় থানায়। পুলিশ পরে বালিকাকে উদ্ধার করে। ঘটনাক্রমে যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৩, ৩৭৬, ৩৭৬ (২) (এন), ৩৭৬ (৩) এবং ৩৪ ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। জোড়া হয় পকসো আইনও। মামলাটি ওঠে হাই কোর্টে।
বিচারপতি ঊর্মিলা যোশী-ফালকের পর্যবেক্ষণ, অভিযুক্ত এবং নির্যাতিতা সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। ২৬ বছরের যুবকের সঙ্গে নাবালিকার প্রেম ছিল। প্রেমের কারণে তাঁরা পরস্পর ঘনিষ্ঠ হন। বিচারপতি বলেন, ‘‘এই মামলায় দেখা যাচ্ছে, যৌন সম্পর্কের যে অভিযোগ করা হয়েছে, সেটা দুই উঠতি বয়সির পরস্পরের প্রতি আকর্ষণের প্রতিফলন। এমনটা নয় যে নাবালিকা ওই যৌবকের যৌন লালসার শিকার হয়েছিল।’’ পাশাপাশি বিচারপতি এ-ও বলেন, ‘‘ওই ঘটনার সময় নির্যাতিতার বয়স ছিল ১৩ বছর। তাই তার অনুমতি দেওয়া বা না-দেওয়ার কোনও যুক্তি নেই। তবে নাবালিকাকে যে জোরাজুরি করেননি যুবক সেটা স্পষ্ট। নির্যাতিতা নিজেই তার বয়ানে বলেছে যে, ওই যুবকের সঙ্গে তার ভালবাসার সম্পর্ক ছিল।’’ পাশাপাশি আদালত এ-ও জানায় যে, নাবালিকার বিবৃতি থেকে এটাও দেখা যাচ্ছে যে অভিযুক্তের সঙ্গে সে নানা জায়গায় বেড়াতে যেত। সেই সময়গুলোতেও যুবকের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ উঠে আসেনি। তাই এটা স্পষ্ট যে, প্রণয়ঘটিত কারণে দু’জন ঘনিষ্ঠ হয়। একে ধর্ষণ বলা যাবে না।