শুক্রবার গভীর রাতে হঠাত্ ফোন গুড়গাঁওয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার কল সেন্টারে। অচেনা গলায় হুমকি, “বিমানবন্দরের বেশ কয়েকটি বিমানে বোমা রাখা আছে।” ফোনের পরই নড়েচড়ে বসে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। শুরু হয় তল্লাশি। কিন্তু মেলে না কিছুই। আর এই ভূয়ো বোমাতঙ্কের জেরে দেরিতে ছাড়ল বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক বিমান।
বিমানবন্দর সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে ইন্দিরা গাঁধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অন্তত তিনটি বিমানে বোমা রাখা আছে বলে খবর আসে। এর মধ্যে একটি জেট ওয়ারওয়েজের হংকংগামী বিমান, একটি ক্যাথে প্যাসিফিকের বিমান এবং অন্যটি জুরিখগামী সুইস এয়ারের বিমান। বোমা থাকার খবর আসার আগেই প্রথম বিমান দু’টি গন্তব্যের দিকে উড়ে গিয়েছিল। নিরাপত্তার খাতিরে ফিরিয়ে আনা হয় সেগুলিকে। যাত্রীদের নামিয়ে শুরু হয় তল্লাশি। অন্য বিমানটিকে টারম্যাকের একদিকে সরিয়ে নিয়ে যান নিরাপত্তাকর্মীরা। কিন্তু কোনও বিমান থেকেই সন্দেহজনক কিছু মেলেনি।
বিমানবন্দরের এক আধিকারিক বলেন, “রাত দু’টো থেকে বিমানবন্দরে সাময়িক আপতকালীন ব্যবস্থা নেওয়া হয়। নিরাপত্তার খাতিরে ১৯৪ জন যাত্রী এবং ১২ জন বিমানকর্মীকে নামিয়ে আনা হয়। পরে অবশ্য গন্তব্যে উড়ে যায় বিমানগুলি।” এর ফলে ওই তিনটি বিমান বেশ দেরি করেই গন্তব্যে পৌঁছয়। দেরি করে ছাড়ে আরও কয়েকটি বিমান। চূড়ান্ত নাকাল হন যাত্রীরা।
শনিবার সকালে একই রকম একটি উড়ো ফোন আসে বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরেও। সেখানে আবার একই সঙ্গে ছ’টি বিমানকে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। যদিও এ ক্ষেত্রেও তল্লাশির পর মেলেনি কিছুই।
কিন্তু কে করল ওই উড়ো ফোন?
বিস্তারিত ভাবে কিছু জানানো না হলেও দিল্লিতে ফোনটি যে করেছিল, তার সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। খোঁজ চলছে অন্য জনের।