দৃশ্যটি দেখে পুলিশে খবর দিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। প্রতীকী ছবি।
সাতসকালে গ্রামের এক নয়ানজুলির ধারের দৃশ্য দেখে চমকে গেলেন গ্রামবাসীরা। ময়লা-আবর্জনার পাশে সেখানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়েছিল একটি শরীরের রক্তাক্ত অঙ্গপ্রত্যঙ্গ। হাত-পা-আঙুল-সহ শরীরের নানা অংশ টুকরো করে কেটে ছড়িয়ে দিয়ে গিয়েছে কেউ। তবে কার দেহ বোঝার উপায় নেই। কারণ মাথাটাই নেই! নেই শরীরের উপরিভাগের মূল অংশটিও।
দৃশ্যটি দেখে পুলিশে খবর দিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। তারা এসে ঘটনাস্থল থেকে শরীরের ওই টুকরোগুলি সংগ্রহ করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। তবে ঘটনাস্থল এবং তার আশপাশের এলাকা তন্ন তন্ন করে খুঁজেও মাথা এবং বুক-পেটের অংশটুকু পাওয়া যায়নি। ফলে কে খুন হয়েছেন, তা স্পষ্ট হয়নি।
ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের মান্ড্যতে। পুলিশ জানিয়েছে, দেহটি পুরুষের। তাঁর বয়স ৩০ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে হতে পারে। পুলিশের অনুমান, বুধবার রাতেই ওই দেহাবশেষ এনে ফেলা হয় ওই গ্রামে। তবে খুন সম্ভবত করা হয়েছিল তার আগেই। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, অন্য কোথাও খুন করে দেহটি এনে ফেলা হয় এই এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, দেহের নিখোঁজ অংশের খোঁজে তল্লাশি জারি রয়েছে। তবে গ্রামের রাস্তায় যে হেতু সিসিক্যামেরা লাগানো ছিল না, তাই ঘটনার খোঁজ পেতে সময় লাগছে পুলিশের। আপাতত আশপাশের গ্রামে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি গ্রামের যে রাস্তাটি মূল সড়কে উঠছে, সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।