(বাঁ দিকে) মৃত পাইলট রাকেশ রাণা এবং ভেঙে পড়া সেই হেলিকপ্টার (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
আরব সাগরে উদ্ধার অভিযানে গিয়ে ঘটেছিল বিপত্তি। অবতরণের সময় ভেঙে পড়েছিল হেলিকপ্টার। নিখোঁজ হয়ে যান তিন উপকূলরক্ষী বাহিনীর তিন জন। পরে দু’জনের দেহ উদ্ধার হলেও নিখোঁজ ছিলেন হেলিকপ্টারের পাইলট রাকেশকুমার রাণা। এক মাস ধরে খোঁজাখুঁজি চলছে। অবশেষে বৃহস্পতিবার তাঁর দেহ উদ্ধার হয়।
উপকূলরক্ষী বাহিনীর দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গুজরাতের পোরবন্দরের দক্ষিণ-পশ্চিমে উপকূল থেকে প্রায় ৫৫ কিলোমিটার দূরে রাকেশের দেহ উদ্ধার হয়েছে। ভারতীয় নৌবাহিনী এবং অন্যান্য উদ্ধারকারী দলের সদস্যেরা লাগাতার তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিলেন গত এক মাস ধরে। বৃহস্পতিবার তল্লাশি অভিযানের সময় রাকেশের দেহ পাওয়া যায়। নিয়ম মেনেই তাঁর শেষকৃত্য করা হবে বলেও জানিয়েছে উপকূলরক্ষী বাহিনী।
উল্লেখ্য, আরব সাগরে আহত মোটর ট্যাঙ্কারের এক কর্মীকে উদ্ধার করতে গিয়েছিল উপকূলরক্ষী বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার। সে সময় উপকূলরক্ষী বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছিল, মোটর ট্যাঙ্কারে গুরুতর আহত এক কর্মীকে উদ্ধারের জন্য রাতে উদ্ধারকারী দলকে হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছিল। অঞ্চলটি গুজরাতের পোরবন্দরের উপকূল থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে। হেলিকপ্টারে পাইলট ছাড়াও ছিলেন তিন জন। প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে সেটিকে জরুরি ‘হার্ড’ অবতরণ করাতে বাধ্য হন পাইলট। তখনই বিপত্তি হয়। জরুরি অবতরণের সময় ভেঙে পড়ে হেলিকপ্টারটি। তাঁদের মধ্যে এক জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়। তবে বাকি তিন জনের খোঁজ মেলেনি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর দু’জনের দেহ মিললেও পাইলটের খোঁজ পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার নিখোঁজ সেই পাইলটের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।