Sudip Roy Burman

Tripura: আগরতলায় হামলা, আহত সুদীপের রক্ষী

কংগ্রেস নেতা সুদীপ রায়বর্মণের গাড়িচালক ও দেহরক্ষীকে বেধড়ক মারধর করে এক দল দুষ্কৃতী। এই ঘটনাতেও বিজেপির দিকে আঙুল তুলেছেন সুদীপ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আগরতলা শেষ আপডেট: ০২ মে ২০২২ ০৫:৩৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

বিজেপির হামলা নিয়ে এক ছাত্রীর প্রশ্নে গত কাল বিব্রত হয়েছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। আজ খাস আগরতলায় ফের হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। এ দিন কংগ্রেস নেতা সুদীপ রায়বর্মণের গাড়িচালক ও দেহরক্ষীকে বেধড়ক মারধর করে এক দল দুষ্কৃতী। এই ঘটনাতেও বিজেপির দিকে আঙুল তুলেছেন সুদীপ।

Advertisement

এ দিন যে এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে তা সুদীপ রায়বর্মণের ৬ নম্বর আগরতলা কেন্দ্রের অন্তর্গত। আসন্ন উপ-নির্বাচনে ওই কেন্দ্র থেকেই সুদীপের প্রার্থী হওয়ার কথা।

আজ দুপুরে সিনিয়র আইনজীবী সৌমিক দেবের বাড়িতে আইনি পরামর্শ নিতে আসেন সুদীপ। বাইরে গোলমাল শুনে দু’জনেই বেরিয়ে এসে দেখেন সুদীপের দেহরক্ষী ও গাড়িচালককে মারধর করছে এক দল দুষ্কৃতী। সুদীপ ও সৌমিককে দেখে তারা পালায়। সৌমিকের বাড়ির ভিতরে ঢুকেই দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ।

Advertisement

সুদীপ জানান, তিনি পশ্চিম থানায় ফোন করার পরে থানার আধিকারিক সুব্রত চক্রবর্তী আধাসেনা নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। পুলিশ সুদীপের গাড়িচালক ও দেহরক্ষীকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

সুদীপের বক্তব্য, ‘‘অসভ্য, বর্বরের রাজত্বে বাস করছি আমরা। আমাকে বাড়ি থেকে বেরোতে দিচ্ছে না। দিনদুপুরে বিজেপির লোকেরা হেলমেট পরে মোটরবাইকে এসে হামলা চালাচ্ছে।’’ সুদীপ জানান, তাঁর গাড়িচালকের হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে। দেহরক্ষীর আগ্নেয়াস্ত্র ছিনিয়ে নিতে না পারায় তাঁর মাথায় আঘাত করেছে দুষ্কৃতীরা। কংগ্রেস নেতার দাবি, তাঁর গতিবিধির উপরে নজরদারি চলছে। আতঙ্ক ছড়াতেই এই আক্রমণ। আইনজীবী সৌমিক দেব জানান, কোনও আইনজীবীর বাড়িতে এমন হামলা এই প্রথম। তাঁর বক্তব্য, ‘‘এ ভাবে কেন মারধর করা হচ্ছে, তা জানতে চেয়েছিলাম। তাতে দুষ্কৃতীরা আমাকে শাসায়।’’

পশ্চিম থানার আধিকারিক সুব্রত চক্রবর্তী জানান, থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন সুদীপের দেহরক্ষী উমেশ বিন। হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। সন্ধ্যায় পশ্চিম থানা ঘেরাও করেন কংগ্রেস কর্মীরা।

গত কাল মেয়েদের উপরে বিজেপির হামলা নিয়ে এক ছাত্রীর প্রশ্নে বিব্রত হন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। বিজেপির একটি অংশের দাবি, ওই ছাত্রীর বাবা সুদীপপন্থী। তাই তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে এমন প্রশ্ন করেছিলেন। তার জেরেই সুদীপের চালক-রক্ষীর উপরে হামলা চালানো হল কি না, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। বিজেপির সাধারণ সম্পাদক পাপিয়া দত্তের বক্তব্য, ‘‘নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে সুদীপের জনপ্রিয়তা শূন্যে গিয়ে ঠেকেছে। তাই এই নাটক করে প্রচারের আলোয় আসতে চেয়েছেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement