নির্মলা সীতারামন
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের পরিবার বিদেশে থাকা সম্পত্তির বিষয়ে তথ্য গোপন করেছে বলে চেন্নাইয়ের আদালতে সদ্য জমা দেওয়া চার্জশিটে জানিয়েছে আয়কর দফতর। রাহুল গাঁধী তথা কংগ্রেস তার পরেও নীরব কেন, সেই প্রশ্ন তুলল বিজেপি।
বিজেপি নেত্রী তথা প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন আজ বলেন, ‘‘দুর্নীতি মামলায় নিজেই জামিনে মুক্ত থাকা রাহুল গাঁধী কি চিদম্বরমের বিদেশে গচ্ছিত টাকার তথ্য গোপন নিয়ে কোনও তদন্ত করাবেন?’’ আয়কর চার্জশিটকে ‘কংগ্রেসের নওয়াজ শরিফ মুহূর্ত’ বলে খোঁচা দিয়েছেন নির্মলা। প্রসঙ্গত, আর্থিক দুর্নীতির দায়ে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর ভোটে দাঁড়ানো নিষিদ্ধ করেছে সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট। চিদম্বরম অবশ্য পাল্টা বলেছেন, ‘‘দিল্লির খবর হল, নির্মলাকে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে আয়কর দফতরের আইনজীবী করা হচ্ছে। আইনজীবীদের বার-এ সীতারামন আপনাকে স্বাগত।’’
মোদী সরকার ক্ষমতায় এসেই চিদম্বরম ও তাঁর ছেলে কার্তির নামে থাকা বহু আর্থিক অসঙ্গতির মামলার তদন্ত শুরু করে। শুরু থেকেই যাকে ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি’ বলছিলেন চিদম্বরম। কংগ্রেস সূত্রের খবর, পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে আয়কর আইনের ৫০ নম্বর ধারায় (বিদেশে গোপন আয় ও গচ্ছিত সম্পত্তি বিষয়ক) চারটি চার্জশিট দাখিল হওয়ায় অস্বস্তিতে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী।
কংগ্রেসকে আজ আক্রমণ শানান বিজেপি সভাপতি অমিত শাহও। তাঁর টুইট, ‘সুপ্রিম কোর্ট বলা সত্ত্বেও কালো টাকা উদ্ধারে মোদী সরকারের বিশেষ তদন্তকারী দল গঠনের সিদ্ধান্তে সনিয়া গাঁধী, মনমোহন সিংহ, পি চিদম্বরমেরা কেন বাগড়া দিয়েছিলেন, তা এর থেকেই স্পষ্ট।’
ভবিষ্যতে তাঁরা যে চিদম্বরম প্রশ্নে আক্রমণের সুর চড়াবেন, সেই ইঙ্গিতও আজ দেন অমিত। টুইটারে তাঁর দাবি, ‘বিভিন্ন দেশে চিদম্বরম পরিবারের গচ্ছিত গোপন সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৩০০ কোটি ডলার। ১৪টি দেশের ২১টি ব্যাঙ্কে তা রয়েছে।’ চিদম্বরমের জবাব, ‘‘দেশের সব থেকে ধনী দলের সভাপতি বিলিয়ন ডলারের স্বপ্ন দেখছেন। টাকাটা ফেরত আনুন এবং প্রতিশ্রুতি মতো প্রত্যেক দেশবাসীর অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা দিন।’’
আয়কর দফতরের অভিযোগ, চিদম্বরমের স্ত্রী নলিনী, ছেলে কার্তি এবং কার্তির স্ত্রী শ্রীনিধির মালিকানাধীন সংস্থা চেস গ্লোবাল অ্যাডভাইসরি কর্তৃপক্ষ বিদেশে থাকা তাঁদের সম্পত্তির বিষয়ে তথ্য না জানিয়ে কালো টাকা প্রতিরোধ আইন ভেঙেছেন। চার্জশিট অনুযায়ী, ব্রিটেনের কেমব্রিজে কার্তির ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকার সম্পত্তি ছাড়াও সে দেশের একটি সংস্থায় ৮০ লক্ষ টাকার বিনিয়োগ রয়েছে। ৩ কোটি ২৮ লক্ষের বিনিয়োগ রয়েছে একটি মার্কিন সংস্থায়।