শশী তারুর। ফাইল চিত্র।
ফের বিজেপি’র হিন্দুত্ববাদের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন কংগ্রেস নেতা শশী তারুর। তিরুঅনন্তপুরমে একটি সভায় শশী বললেন, ‘‘২০১৯ লোকসভায় বিজেপি জিতলে ভারত হবে হিন্দু পাকিস্তান।’’ শশীর এই বিতর্কিত মন্তব্যের পরই কংগ্রেসের তরফে সতর্ক করা হয় শশীকে।
শশীর মতে, লোকসভায় বিজেপি জয়ী হলে দেশের গণতন্ত্র বিপন্ন হবে। পাকিস্তানের মতোই ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হবে দেশে। তবে তা হবে ‘হিন্দু পাকিস্তান’। বিজেপি’কে কটাক্ষ করে শশীর বক্তব্য, দেশের সংবিধানও নতুন করে বানাতে পারে হয়তো তারা। পাকিস্তানের মতোই সে সংবিধানে সংখ্যালঘুদের কোনও জায়গা থাকবে না।
শশী মঙ্গলবারের সভায় জানান, তাঁর আশঙ্কা, বিজেপি দেশ চালানোর জন্য পুরনো সংবিধান বদলে ফেলতেও পিছপা হবে না। বিজেপি ক্ষমতায় এলে তৈরি হবে হিন্দু রাষ্ট্র। সে ক্ষেত্রে সংখ্যালঘুদের হাতে কোনও ক্ষমতা থাকবে না বলেও মন্তব্য করেন তারুর। মহাত্মা গাঁধী, জওহরলাল নেহরু, সর্দার বল্লভভাই পটেল, মৌলানা আজাদ-সহ অন্য স্বাধীনতা সংগ্রামীরা যে ভারতের স্বপ্ন দেখেছিলেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে তা হারিয়ে যাবে বলেও স্পষ্ট জানান তারুর।
আরও পড়ুন: তেল আর বন্দরে বিনিয়োগ নিয়ে ইরানের জোড়া হুঁশিয়ারি ভারতকে
আরও পড়ুন: চাষিদের সঙ্গে বেইমানি করেছে কংগ্রেস: মোদী
শশীর এই মন্তব্যের পরই বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্র বলেন, ‘‘রাহুল গাঁধীকে দলীয় নেতার এই বক্তব্যের কারণে ক্ষমা চাইতে হবে। দেশের হিন্দুদের অবমাননা করছেন শশী। কংগ্রেস নিজেই বরং পাকিস্তান তৈরির জন্য দায়ী।’’
শশীর এই বক্তৃতার পর যদিও কংগ্রেসের তরফে একাধিক টুইট করেন দলের মুখপাত্র রণদীপ সূরজেওয়ালা। কংগ্রেসের মতো গণতান্ত্রিক একটি দলের কর্মীরা শব্দচয়নে যথাযথ গুরুত্ব দেন যাতে, বলা হয় সেকথাও।
অন্যদিকে শশীর বক্তব্যের পর তাঁকে ‘মানসিকভাবে অসুস্থ’ বলে মন্তব্য করেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। শশী যদিও সংবাদ সংস্থাকে বলেন, ‘‘বিজেপি হিন্দু রাষ্ট্র গঠনের চেষ্টা করছে। এটা সত্যি। তাই নিজের বক্তব্যের জন্য কোনও রকম ক্ষমা চাইব না আমি।’’