গত সেপ্টেম্বর মাসে ওই আসনগুলি চিহ্নিত করে প্রথম বৈঠকে বসেছিলেন বিজেপি নেতারা। ফাইল চিত্র।
দুই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের মধ্যেই লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি এগিয়ে রাখলেন বিজেপি নেতৃত্ব।
গত লোকসভা ভোটে দেশের ১৪৪টি আসনে খুব স্বল্প ব্যবধানে দ্বিতীয় হন বিজেপি প্রার্থীরা। আগামী ২০২৪ সালের ভোটে সেই আসনগুলিতে যাতে জেতা সম্ভব হয়, সেই লক্ষ্যেই ইতিমধ্যে মাঠে নেমে পড়েছেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহেরা। সেই কাজ কতটা এগিয়েছে তার মূল্যায়ন করতেই আজ দলীয় সভাপতি জে পি নড্ডার নেতৃত্বে বিজেপির দিল্লির সদর দফতরে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বি এল সন্তোষরা।
বিজেপি শিবিরের দাবি, এই ১৪৪টি আসনে দেখা গিয়েছে জয়ী প্রাথীর সঙ্গে দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিজেপি প্রার্থীর ব্যবধান খুবই সামান্য। বিজেপি নেতৃত্বের মতে, কেন্দ্রে দু’টি পর্বে ক্ষমতায় থাকায় দেশ জুড়ে শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান-বিরোধী হাওয়া তৈরি হয়েছে, যাতে ইন্ধন জুগিয়েছে মূল্যবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি ও বেকারত্বের পরিস্থিতি। আমজনতার ক্ষোভের কারণে বড় সংখ্যক জেতা আসন হারানোর আশঙ্কা করছে শাসক দল। তাই আগামী লোকসভা নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে যাতে দলের সমস্যা না-হয়, সেই লক্ষ্যেই ওই ১৪৪টি আসনের মধ্যে থেকে যথাসম্ভব বেশি আসন জিতে আসাই পাখির চোখ করেছে মোদীর দল।
গত সেপ্টেম্বর মাসে ওই আসনগুলি চিহ্নিত করে প্রথম বৈঠকে বসেছিলেন বিজেপি নেতারা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের ওই হেরে যাওয়া আসনগুলিতে গিয়ে রাত কাটানোর পাশাপাশি ওই লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে থাকা বিধানসভা আসনগুলিতে দলের পরিস্থিতি কোন অবস্থায় রয়েছে তা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়। যার ভিত্তিতে পরে রণকৌশল নেয় দল। দু’মাসে দলের শক্তি ওই হেরে যাওয়া কেন্দ্রগুলিতে বাড়ল না কমল, লোকে বিজেপিকে ক্ষমতায় ফেরানোর প্রশ্নে কী ভাবছেন, ওই আসনগুলিতে জেতার সম্ভাবনা বেড়েছে কি না, জয়ী দলের সঙ্গে বিজেপির দূরত্ব কমল কি না, তা খতিয়ে দেখা হয় এ দিনের বৈঠকে।