ফাইল চিত্র।
শাহিন বাগের বিক্ষোভ, দিল্লির দাঙ্গার পরেও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) চালু করার প্রশ্নে অনড়ই ছিলেন অমিত শাহ। তবে করোনার কারণে গত কয়েক সপ্তাহ এ নিয়ে চুপ ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কাল বিহার ভোটের দামামা বাজিয়ে করা প্রথম ভার্চুয়াল জনসভাতেও সিএএ নিয়ে কিছু বলেননি তিনি। কিন্তু আজ ভার্চুয়াল জনসভার মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটের ঢাকে কাঠি দিতে গিয়ে অমিত বোঝালেন, বাংলার ভোটে সিএএ-কে অস্ত্র করবে বিজেপি। এ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতা প্রশ্নে অমিতের যুক্তি, আসলে মতুয়া, নমশূদ্র এবং ও-পার বাংলা থেকে আসা হারানো বাঙালির বিরুদ্ধাচরণ করছে তৃণমূল। পাল্টা আক্রমণে তৃণমূল নেতৃত্বের প্রশ্ন, ওই আইন যদি এতই গুরুত্বপূর্ণ, তা হলে ছ’মাস পরেও কেন তার নিয়ম তৈরিতে ব্যর্থ মোদী সরকার!
আগামী বছর বঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। রাজ্য বিজেপির অনুমান, সীমান্ত লাগোয়া ৭০ থেকে ১০০টি কেন্দ্রে মতুয়া-ভোট নির্ণায়ক ভূমিকা নেবে। নাগরিকত্ব আইনকে হাতিয়ার করে এই ভোট টানতে মরিয়া বিজেপি। আজ মতুয়াদের মন পেতে হরিচাঁদ ও গুরুচাঁদ ঠাকুরের নাম নিয়েছেন অমিত শাহ। তাঁর অভিযোগ, মতুয়া-স্বার্থরক্ষায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৎপর নন। অমিত বলেন, ‘‘আমি মমতাদিদির কাছে প্রশ্ন করতে চাই, মতুয়া সমাজ, নমশূদ্র, বাংলাদেশ থেকে আসা বাঙালি ভাইয়েরা আপনার কী ক্ষতি করেছে? কেন তাদের নাগরিকত্বের আপনি বিরোধী, তা স্পষ্ট করুন।’’ অমিতের দাবি, ‘‘আপনি এখন সিএএ-র বিরোধ করছেন। যখন ভোট বাক্স খুলবে তখন দেখবেন বাংলার জনতা আপনাকে রাজনৈতিক শরণার্থীতে পরিণত করেছে।’’
আরও পড়ুন: ‘লাদাখে ভারতীয় ভূখণ্ড কি দখল করেছে চিন?’ রাজনাথকে প্রশ্ন রাহুলের
তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, ‘‘নাগরিকত্ব আইন নিয়ে এখন আলোচনা চাইছি না। তবু বলছি, সিএএ আইন পাশের ছ’মাসের মধ্যে নিয়ম তৈরি হয়নি। এখন সরকারকে নতুন করে সাব-অর্ডিনেট লেজিসলেশন কমিটির কাছে সময় চাইতে হবে। বিষয়টিকে নির্বাচন পর্যন্ত টানা থেকেই বোঝা যাচ্ছে, এই পদক্ষেপ কতটা রাজনৈতিক।’’ বিরোধীদের কটাক্ষ, যে মোদী সরকার দেশের লোকের করোনা পরীক্ষা করতে পারে না, তারা কী করে ১৫০ কোটি লোকের নাগরিকত্ব যাচাই করবে?