আপ্লুত: সমর্থকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর অভিবাদন। ভুবনেশ্বরে শনিবারের রোড-শোয়ে বিপুল সাড়া দেখে উৎসাহিত বিজেপি। ছবি: পিটিআই।
লোকসভা ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদীর মুখে শোনা যেত ‘কংগ্রেস-মুক্ত’ ভারতের কথা। উত্তরপ্রদেশের বিপুল সাফল্যের পর বদলে গেল স্লোগান। বিজেপির নতুন ডাক ‘বিরোধী-মুক্ত’ ভারত।
দলের জাতীয় কর্মসমিতির শুরুতেই নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ বলেন, দেশের সব রাজ্যের পঞ্চায়েত থেকে সংসদ পর্যন্ত দখল করতে হবে বিজেপি-কে। যার অর্থ, গোটা দেশকেই বিরোধী-শূন্য করে দিতে চায় মোদী-শাহ জুটি। বিজেপি সভাপতি এ দিন বলেন, “গত লোকসভা ভোটের পর বলা হতো, বিজেপি চরম উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছে। ২০১৭-এ উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ডে তিন-চতুর্থাংশ আসনে জয়ের পরও বলা হচ্ছে, বিজেপি এখন পৌঁছেছে চরম উচ্চতায়। এনডিএর ৩১টি শরিক দল পরের লোকসভায় নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভোটে লড়ার সঙ্কল্প করেছে। সব রাজ্যের পঞ্চায়েত থেকে সংসদ পর্যন্ত বিজেপির দখলে এলে সেটাই হবে আসল স্বর্ণযুগ।”
আসলে বিজেপি জানে, সামনের লোকসভায় তাদের ঠেকাতে সব বিরোধী দল একজোট হবে। সেই অঙ্ক মাথায় রেখেই আরও আক্রমণাত্মক অবস্থান নিল মোদী-শাহ জুটি। রবিশঙ্কর প্রসাদের কথায়, ‘‘বিরোধীরা হারের ভয়েই এখন একজোট হচ্ছে। কিন্তু বদলের দেওয়াল লিখনটা তাঁরা পড়তে পারছেন না। সবাই একজোট হলেও বিরোধীদের হারানোর কৌশলই তৈরি করছে বিজেপি।’’
আরও পড়ুন: বঙ্গ জয়েই বিজেপি-র স্বর্ণযুগ আসবে: অমিত শাহ
আজই ভুবনেশ্বর বিমানবন্দর থেকে জাতীয় কর্মসমিতির সভাস্থল পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার পথে রোড-শো করেন প্রধানমন্ত্রী। রোড-শোর সাড়ায় আপ্লুত বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যে সব জায়গায় বিজেপি দুর্বল, সেখানেই জোর দিতে হবে। এর জন্য অমিত শাহ ঘুঁটি সাজাচ্ছেন। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯৫ দিন তিনি নিজে বিভিন্ন রাজ্যে সফর করবেন। সব মন্ত্রী ও পদাধিকারীকে ১৫ দিন সফরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রায় ৪ লক্ষ কর্মী বাছাই করা হয়েছে, যাঁদের বিভিন্ন রাজ্যে পাঠানো হবে বুথ পর্যায়ে সংগঠনকে শক্ত করার জন্য।