—ফাইল চিত্র।
বিএসপি নেত্রী মায়াবতীকে ‘যৌনকর্মীরও অধম’ বলে প্রবল বিতর্ক সৃষ্টি করলেন উত্তরপ্রদেশ বিজেপির সহ-সভাপতি দয়াশঙ্কর সিংহ। বিধানসভা ভোটের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে যে রাজ্যে, সেখানে দয়াশঙ্করের এই মন্তব্যে বিজেপিকে ঘোর বিপাকে ফেলে দিল। বিতর্কের ধাক্কা সামলাতে দয়াশঙ্কর সিংহকে রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। তবে তাতে পরিস্থিতি ঠান্ডা হয়নি মোটেই।
বিজেপি নেতার ওই মন্তব্যে বিচার চেয়ে বুধবার উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্যসভা। পরে পার্লামেন্টে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন দলের বর্ষীয়ান নেতা তথা অর্থমন্ত্রী অরুন জেটলি। তিনি বলেন, ‘‘একজন বিজেপি নেতার এই মন্তব্যে ব্যক্তিগতভাবে ভীষণই আঘাত পেয়েছি। এই আচরণের জন্য মায়াবতী’জির কাছে দলের তরফ থেকে ক্ষমা চাইছি। আমরা তাঁর পাশে রয়েছি।’’ উত্তরপ্রদেশের বিজেপি প্রধান কেশব মৌর্যও এই মন্তব্যের জন্য মায়াবতীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।
আরও পড়ুন: মুসলিমদের প্রোফাইলে কাশ্মীর নিয়ে পোস্ট হলেই উড়িয়ে দিচ্ছে ফেসবুক!
কী বলেছেন বিজেপি নেতা দয়াশঙ্কর সিংহ? এক সাক্ষাৎকারে রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি বলেছেন, ‘‘যৌনকর্মীরা যেমন টাকার বিনিময়ে খদ্দের খোঁজেন, মায়াবতীও ঠিক সে রকমই করেন। টাকার বিনিময়ে পার্টির টিকিট বেচেন। তবে তাঁদের সঙ্গে মায়াবতীর পার্থক্য এটাই যে, যৌনকর্মীরা নিজেদের ব্যবসার প্রতি অনেক বেশি সৎ। এক বার খদ্দের ঠিক হয়ে গেলে তাঁরা আর কথার খেলাপ করেন না। কিন্তু মায়াবতী সকালে কাউকে ১ কোটি টাকার বিনিময়ে ভোটের টিকিট দেওয়ার পর, দুপুরে যদি অন্য কারও কাছ থেকে ২ কোটি টাকার প্রস্তাব পান, তা হলে আগের প্রার্থীকে বাতিল করে নতুন করে টিকিট বেচে দেন। আবার সন্ধ্যায় কেউ ৩ কোটি টাকা নিয়ে এলে, তাঁকেই টিকিট দেন।’’
রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতির এই মন্তব্যে যে তুমুল বিতর্কের ঝড় উঠে গিয়েছে, তাতে বিজেপির সামনে আপাতত ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামা ছাড়া অন্য কোনও পথ খোলা নেই। দয়াশঙ্করকে উত্তরপ্রদেশ বিজেপির সহ-সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে নেতৃত্ব। তবে দলিত নেত্রী ভোটের আগে যে অস্ত্র হাতে পেয়ে গিয়েছেন, তা তিনি মোটেই হাতছাড়া করতে রাজি নন। বিএসপি সুপ্রিমো বলেছেন, ‘‘এই ধরনের অসম্মানজনক মন্তব্য থেকে স্পষ্ট ভাবে প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে যে বিএসপির ক্রমবর্ধমান জনসমর্থন দেখে বিজেপি নেতারা হতাশ।’’