প্রতীকী ছবি। —সৌজন্যে এবিপি নিউজ
এক বছর ন’মাস পর প্রকাশ্যে এল সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের ভিডিও ফুটেজ। আর তারপরই সরকার তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে তেড়েফুঁড়ে আসরে নামল কংগ্রেস। দলের নেতাদের অভিযোগ, মোদী নিজের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইককে কাজে লাগাচ্ছে। ব্যবহার করা হয়েছে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে।
২০১৬ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে অভিযান চালায় ভারতীয় সেনা। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় জঙ্গি ঘাঁটিগুলি। সেই ঘটনার পর থেকেই নানা মহল থেকে দাবি ওঠে, ওই সেনা অভিযানের ভিডিয়ো ফুটেজ প্রকাশ্যে আনা হোক। কিন্তু কেন্দ্র বা সেনা এতদিন তাতে কর্ণপাত করেনি। অবশেষে ২৮ জুন বৃহস্পতিবার থেকে সর্বভারতীয় টিভি চ্যানেলগুলি একটি ভিডিও সম্প্রচার করে দাবি করে, সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের আংশিক ভিডিয়ো ফুটেজ মিলেছে।
এরপরই আসরে নামে কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরযেওয়ালা সাংবাদিক সম্মেলন করে তোপ দাগেন, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক পুরোপুরি সেনার কৃতিত্ব। কিন্তু সেটাকে মোদীর ব্যক্তিগত কৃতিত্ব হিসাবে জাহির করা হচ্ছে। খাটো করা হচ্ছে ভারতীয় সেনা জওয়ানদের বীরত্ব, সাহসিকতা ও দক্ষতাকে।
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে শিশুদের বন্দুকের মুখে ঠেলে দিয়েছে হিজবুল-জৈশ, বলছে রাষ্ট্রপুঞ্জ
বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার অভিযোগ তুলে সুরযেওয়ালা আরও বলেন, এমন একটা সময় সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করা হয়, যখন উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোটের তোড়জোড় চলছিল। ওই সময় সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোটে বিজেপি ফায়দা তুলেছে বলেও দাবি কংগ্রেস মুখপাত্রের।
বিজেপির হয়ে পাল্টা জবাব দিতে আসরে নেমেছেন দলের রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেসের হাতে এরকম কোনও ফুটেজই নেই। তারা দেখাবে কোথা থেকে। তাই ওরা চেয়েছিল, আমরাও যাতে এই ফুটেজ প্রকাশ্যে না আনি। আর এটা কীভাবে সাধারণ মানুষকে প্রভাবিত করতে পারে বোঝা যাচ্ছে না।’’
আরও পড়ুন: মুম্বইয়ের বসতি এলাকায় ভেঙে পড়ল চার্টার্ড বিমান, মৃত ৫