ঘরে ঘরে দলিত আর গরিবের সন্ধানে, কাল বাবাসাহেব অম্বেডকরের জন্মদিন থেকে গোটা দেশে ঝাঁপাচ্ছে মোদী সরকার। পঞ্চায়েত ভোট বলে আপাতত বাদ পশ্চিমবঙ্গ।
দলিত-কাঁটা গেঁথে রয়েছে নরেন্দ্র মোদীর গলায়। তাই দলিত-আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে সুরাহা না পেলে অধ্যাদেশ আনার কথাও ভাবছে তাঁর সরকার। আর কাল থেকেই ঘরে-ঘরে গিয়ে দেখা হবে, কোন দলিত এখনও প্রয়োজনীয় শংসাপত্র পাননি, কোন দলিত-ছাত্র বাদ পড়েছে স্কলারশিপ থেকে। আগামি কালই ছত্তীসগঢ়ের পিছিয়ে পড়া জেলায় গিয়ে চালু করবেন ‘মোদী-কেয়ার’-এর প্রথম ধাপ। যে প্রকল্পের অধীনে প্রায় ১১ কোটি গরিব পরিবারকে চলতি বছর থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা খরচ দেওয়া হবে। কিন্তু গরিবের সেই তালিকা যাচাইয়ের কাজটিও বাকি। সেটিও ঘরে-ঘরে গিয়ে শুরু হবে আগামীকাল থেকে।
দিল্লিতে আজ রাতেই প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেন অম্বেডকর স্মারক। পুরোপুরি সরকারি অনুষ্ঠান হলেও সেখানেই পরতে পরতে বিঁধলেন কংগ্রেসকে। ‘আমি-আমি’ করে বোঝাতে চাইলেন, অম্বেডকর তাঁরই। মোদীর দাবি, কংগ্রেস শুধু বাবাসাহেবকে ঘৃণা আর উপেক্ষা করেছে, আর এখন দলিতকে ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে দেখছে। এই কংগ্রেসই দলিত সংরক্ষণ তোলার মিথ্যা প্রচার করছে, ভারত-বন্ধের উস্কানির পিছনেও তারা। এরপরেই তিনি বলেন, ‘‘গরিব আর পিছিয়ে পড়া ঘরে জন্ম বলে জানি, কত যন্ত্রণা শুনতে হয়। প্রধানমন্ত্রী হয়েও শুনেছি। কংগ্রেস ভাই-ভাইকে লড়িয়ে দেয়।’’
বিরোধীদের বক্তব্য, অম্বেডকর কি প্রধানমন্ত্রীর একার? কাল উত্তরপ্রদেশে মায়াবতীর সঙ্গে অখিলেশও বড় আকারে পালন করবেন অম্বেডকরের জন্মদিন। কংগ্রেসও দেশজুড়ে তা পালন করবে। মোদীও জানেন, রোষ বাড়ছে। দলিতরা হাতছাড়া হলে ভাগ বসবে হিন্দু ভোটে। আরএসএস-ও এ বিষয়ে সতর্ক করেছে মোদীকে। তাই আদাজল খেয়ে আগামী একমাস দলিত-তুষ্টিতে নামছেন মোদী।