অসমে হার তৃণমূলের।—ফাইল চিত্র।
অসমের পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস বহিরাগত দল হিসেবেই রয়ে গেল। রাজ্যের ৯টি জেলায়, মূলত বাঙালিপ্রধান এলাকাগুলিতে ১০৭ জন প্রার্থী দিয়েছিল তৃণমূল। রাত পর্যন্ত কারও জয়ের খবর আজ আসেনি। পশ্চিমবঙ্গের একাধিক মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদরা তৃণমূলের হয়ে বরাক ও ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায় প্রচার চালান। তাঁদের প্রচারের মূল হাতিয়ার ছিল, এনআরসি থেকে বাঙালিদের নাম বাদ পড়ার ঘটনা। কিন্তু একই সঙ্গে হিন্দু বাঙালিদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে সংশোধনী বিলে তৃণমূলের আপত্তি অসমের বাঙালি যে ভাল ভাবে নেয়নি তা স্পষ্ট হল।
এখনও পর্যন্ত এগিয়ে বিজেপিই। দ্বিতীয় স্থানে কংগ্রেস। তার পরে অসম গণ পরিষদ। নাগরিকত্ব আইন সংশোধন, এনআরসি ইত্যাদি কারণে বরাক-ব্রহ্মপুত্রে বিজেপি-বিরোধী হাওয়া রয়েছে। জোট শরিক অসম গণ পরিষদ জোট ভাঙার হুমকি দিচ্ছে।
কংগ্রেসের দাবি, রাজ্য সরকার প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে ভোটে ভাল ফল করছে, কিন্তু বাস্তবটা ভিন্ন। পঞ্চায়েত, জেলা পরিষদ মিলিয়ে মোট ৭৮,৫৭১ জন প্রার্থীর মধ্যে বিনা যুদ্ধে জয়ী ৭৩৪ জন প্রার্থীর ৩৮০ জনই বিজেপির। কংগ্রেসের ১৯৩, অগপর ২৮, এআইইউডিএফের ১০, বিপিএফের ৫, সিপিএমের ১ ও ১১৭ জন নির্দল প্রার্থী বিনা যুদ্ধে জিতেছেন।
ধুবুড়িতে রাষ্ট্রপতির নাম না-জানা কংগ্রেসের ‘ভাইস প্রিন্সিপাল প্রার্থী’ ও বোকাখাতে অগপর চোরাশিকারি প্রার্থী হেরেছেন। এখন পর্যন্ত ২১,৯৯০ পঞ্চায়েত সদস্যের মধ্যে বিজেপি ১২৪৭ আসনে, কংগ্রেস ৭৫৬ ও অগপ ২৫৮ আসনে জিতেছে।