কৈরানা উপনির্বাচনে জিততে মরিয়া বিজেপি।
নতুন সড়ক উদ্বোধন করতে প্রধানমন্ত্রী পৌঁছে যাবেন প্রায় ভোটকেন্দ্রের পাশেই। তা-ও ভোটের ঠিক এক দিন আগে। লোকসভায় একক গরিষ্ঠতা এখন খাদের ধারে। ফলে ঝুঁকি নিতে চাইছে না বিজেপি। ২৮ মে উত্তরপ্রদেশের কৈরানা লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। তার ঠিক এক দিন আগে দিল্লি থেকে উত্তরপ্রদেশগামী দু’টি সড়কের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। সভা করবেন কৈরানা থেকে মাত্র ৬০ কিলোমিটার দূরে বাগপতে। প্রধানমন্ত্রীর এমন প্রচার-ভাবনা নিয়ে নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানানোর কথা ভাবছে কংগ্রেস। তাদের মতে, এটিও নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন।
কিন্তু কেন এত মরিয়া বিজেপি?
দলের এক সূত্রের মতে, কর্নাটক ভোটের আগে ইয়েদুরাপ্পা ও শ্রীরামুলু লোকসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। যার ফলে এখন স্পিকার বাদ দিলে লোকসভায় এখন বিজেপির সাংসদ ২৭২ জন। একক গরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যার একেবারে টায়ে টায়ে। এর মধ্যে কীর্তি আজাদ সাময়িক ভাবে বহিষ্কৃত। তিনি আজও রাজীব গাঁধীর মৃত্যুদিবসে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: রাহুল আর মমতাকে খোঁচা শাহের
শত্রুঘ্ন সিন্হা ঘোষিত বিদ্রোহী। তাঁদের বাদ দিলে বিজেপির সংখ্যা দাঁড়ায় ২৭০। যদিও এনডিএ শরিকদের নিয়ে বিজেপির সংখ্যা পর্যাপ্ত আছে। কিন্তু বিজেপি এত দিন একার জোরে ক্ষমতার যে দাপট দেখাত, সেটি থাকছে না। জোটের উপরে নির্ভর থাকতে হচ্ছে। তাই উত্তরপ্রদেশের একটি লোকসভা উপনির্বাচনের একদিন আগেও এমন অভিনব প্রচার করছেন নরেন্দ্র মোদী।