বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা ঠাকুর। ছবি: পিটিআই।
ঘরে অস্ত্র রাখার নিদান দিয়ে ফের বিতর্কে বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা ঠাকুর। ওই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিশ্বাসঘাতকতার মামলা দায়ের করেছে মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেস। বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ারও প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। যদিও দল প্রজ্ঞার পাশেই দাঁড়িয়েছে। বিজেপির দাবি, আত্মরক্ষার জন্যই ওই মন্তব্য করেছেন প্রজ্ঞা। রবিবার কর্নাটকের শিবমোগ্গায় হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রজ্ঞা বলেছিলেন, হিন্দুদের আনাজ কাটার ছুরি রাখা উচিত ঘরে। যাতে আত্মরক্ষা করা সম্ভব হয়। ওই জনসভায় লাভ জেহাদ নিয়েও সরব হন বিজেপি নেত্রী।
কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ এই মন্তব্যকে ঘৃণা-ভাষণের সমতুল বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, “আমরা আইনি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলছি। এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানোর বিষয়ে ভাবনা-চিন্তা চলছে। রাজ্য পুলিশের উপর নির্ভর করা যাচ্ছে না। কর্নাটক পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি... এই মন্তব্যে সংসদের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়েছে।”
বিতর্কিত মন্তব্যের ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই প্রজ্ঞার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের দাবি উঠেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র সাকেত গোখেল অভিযোগ জানিয়েছেন। কংগ্রেস নেতা তেহসিন পুণাওয়ালা প্রজ্ঞার বিরুদ্ধে ই-মেলে অভিযোগ করেন শিবমোগ্গার পুলিশ সুপার জিকে মিঠুন কুমারের কাছে। পুণাওয়ালা জানান, উপযুক্ত পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ সুপার। এর পাশাপাশি পুণাওয়ালা মনে করান, ২০০৮ সালে মালেগাঁও বিস্ফোরণেও অভিযুক্তের তালিকায় ছিল প্রজ্ঞার নাম। ওই বিস্ফোরণে নিহত হয়েছিলেন ছ’জন। মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস নেতা কে কে মিশ্র জানিয়েছেন, হিংসায় প্ররোচনা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রের উচিত প্রজ্ঞার বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার মামলা দায়ের করা।