প্রতীকী ছবি।
নোট বাতিলের প্রেক্ষাপটে ফের নির্বাচনী সাফল্য বিজেপির। চণ্ডীগড়ের পুর নির্বাচনে কংগ্রেস সহ গোটা বিরোধী পক্ষকে ধরাশায়ী করল বিজেপি-অকালি জোট। চণ্ডীগড় পুর নিগমের ২৬টি আসনের মধ্যে ২১টিতেই জয়ী হয়েছে বিজেপি-অকালি জোট। ৭টি আসন খুইয়েছে কংগ্রেস। মুছে গিয়েছে বসপা। কালো টাকার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী যে জেহাদ ঘোষণা করেছেন, তাকে সাধারণ মানুষ যে দু’হাত তুলে সমর্থন করছেন, চণ্ডীগড়ের রায় তারই প্রমাণ। বলছে বিজেপি।
আগের নির্বাচনে চণ্ডীগড় পুর নিগমে বিজেপি-অকালি জোটের ঝুলিতে গিয়েছিল ১২টি আসন। কংগ্রেস পেয়েছিল ১১টি। মায়াবতীর দল বসপা পেয়েছিল ২টি আসন। এ বারের নির্বাচনে বিজেপি একাই পেয়েছে ২০টি। তাদের জোটসঙ্গী তথা পঞ্জাবে বিজেপির বড় শরিক শিরোমণি অকালি দল পেয়েছে ১টি আসন। কংগ্রেস পেয়েছে ৪টি। অবশিষ্ট ১টি আসনে জয়ী হয়েছেন এক নির্দল প্রার্থী। আর দিল্লির মতো পঞ্জাবেও বিজেপি ও কংগ্রেসের প্রধান বিকল্প হয়ে উঠতে এখন প্রবল ভাবে সচেষ্ট যে দল সেই আম আদমি পার্টি পঞ্জাবের রাজধানীতে একটি আসনেও জিততে পারেনি।
আরও পড়ুন: মোদীর রবিনহুড পোশাকে কালি ছেটাতে তৈরি রাহুল
২০১৭ সালেই পঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচন। টানা ১০ বছর ক্ষমতায় থাকা অকালি-বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষমতা-বিরোধিতার হাওয়া তীব্র। কিন্তু তার মাঝেও পঞ্জাবের রাজধানী শহরে এই বিপুল জয় পেয়ে বিজেপি স্বাভাবিক ভাবেই উচ্ছ্বসিত। এই জয়কে সরাসরি নরেন্দ্র মোদীর জয় হিসেবেই ব্যাখ্যা করছে বিজেপি। কালো টাকা এবং জাল টাকার রমরমা রুখতে ৫০০ টাকা ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল করার যে পদক্ষেপ প্রধানমন্ত্রী করেছেন, তার পর থেকে দেশ জুড়ে বিভিন্ন নির্বাচনে বিজেপি ধারাবাহিক ভাবে জয়ী হচ্ছে বলে দলের দাবি। প্রধানমন্ত্রীর পদক্ষেপকে সাধারণ মানুষ যে অকুণ্ঠ সমর্থন দিচ্ছেন, এই সব জয়ে তা-ই প্রমাণিত হচ্ছে বলে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ এ দিন মন্তব্য করেছেন।