National News

‘ইন্ডিয়া’ মন্তব্যের জের! ছেলে তৈমুরকে জড়িয়ে সইফকে কটাক্ষ বিজেপির

সোশ্যাল মিডিয়ার অনেকেও একই ধরনের আক্রমণ করেছেন সইফকে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২০ ১৭:০০
Share:

সইফ আলি খানকে আক্রমণ বিজেপি নেত্রী মীনাক্ষী লেখির। —গ্রাফিক শৌভিক দেবনাথ

ইংরেজদের আগে ‘ইন্ডিয়া’র ধারণা ছিল না— এই মন্তব্যের জেরে ট্রোল হতে হয়েছে। শুনতে হয়েছে ‘ইতিহাসবিদ’ বক্রোক্তি। ছবি, মানচিত্র পোস্ট করে নেটিজেনরা সইফ আলি খানকে বুঝিয়ে ছেড়েছেন যে ইংরেজদের আগেও ভারতবর্ষের অস্তিত্ব ছিল। কিন্তু শুধু সোশ্যাল মিডিয়াতেই শেষ নয়। এ বার সইফকে আক্রমণে নেমে পড়ল বিজেপি-ও। তাও আবার ছেলে তৈমুরকে পর্যন্ত জড়িয়ে কটাক্ষে বিঁধলেন সাংসদ মীনাক্ষী লেখি। সেই মীনাক্ষী লেখি, সিএএ-র বিরুদ্ধে মুখ খোলায় কয়েকদিন আগেই যিনি মাইক্রোসফটের সিইও সত্য নাদেল্লাকেও আক্রমণ করতে ছাড়েননি।

Advertisement

সদ্যই মুক্তি পেয়েছে মরাঠা বীর তানাজির জীবনকাহিনী নিয়ে নির্মিত ছবি ‘তানাজি’। ছবিতে উদয়ভান সিংহ রাঠৌরের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সইফ। সেই ছবির প্রচারেই সূত্রেই একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমি মনে করি না ইংরেজরা ভারতে আসার আগে পর্যন্ত ইন্ডিয়ার কোনও ধারণা ছিল।’’ তাঁর ওই সাক্ষাৎকারের এই অংশটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন নেটিজেনরা।

এ বার রাজনৈতিক আক্রমণের মুখেও পড়তে হল সইফকে। বিজেপি নেত্রী তথা নিউ দিল্লি কেন্দ্রের সাংসদ মীনাক্ষী লেখি টুইটারে লিখেছেন, ‘‘তুর্কিরাও তৈমুরকে (তৈমুরলঙ্গ) নিষ্ঠুর হিসেবেই দেখতেন। কিন্তু কিছু লোক নিজের ছেলের নাম রাখেন তৈমুর।’’ অবশ্য শুধু মীনাক্ষী লেখিই নন, সোশ্যাল মিডিয়ার অনেকেও একই ধরনের আক্রমণ করেছেন সইফকে।

Advertisement

আরও পড়ুন: ইংরেজরা আসার আগে ভারত বলে কিছু ছিলই না, দাবি করে তীব্র কটাক্ষের মুখে সইফ

তৈমুরলঙ্গ ছিলেন অত্যাচারী তুর্কি শাসক। হত্যা, লুন্ঠনের মাধ্যমে এশিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় তাঁর সাম্রাজ্য বিস্তার করেছিলেন। ১৩৯৮ সালে ভারতে আক্রমণ করে দিল্লি তছনছ করেছিলেন ওই তুর্কি শাসক। এ হেন অত্যাচারী শাসকের নামে ছেলের নাম রাখা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেনদের অনেকেই। একই প্রশ্নে আক্রমণ শানাল বিজেপিও।

আরও পড়ুন: যতই প্রতিবাদ হোক, সিএএ থাকবেই, মমতা-মায়াবতীকে বিতর্কে আহ্বান জানিয়ে হুঙ্কার অমিতের

সইফ-করিনার ছেলের নাম তৈমুর রাখার সময়ও প্রশ্ন উঠেছিল। ওই সময় সইফ বলেছিলেন, ‘‘তুর্কি শাসকের ইতিহাস আমি জানি। তাঁর নাম ছিল ‘তিমুর’। কিন্তু আমার ছেলের নাম ‘তৈমুর’। প্রাচীন এই পার্সি নামের অর্থ ‘লোহা’। এই নামের অর্থও সুন্দর, শুনতেও ভাল লাগে।’’ তবে পরে আবার একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, ছেলের নাম পরিবর্তনের কথা ভেবেছিলেন তাঁরা। কিন্তু বিতর্ক এড়াতেই তা করেননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement