বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডার সঙ্গে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। ছবি: পিটিআই।
ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে ৬০টি আসনের মধ্যে ৪৮টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল বিজেপি। দ্বিতীয় দফায় বাকি আসনগুলির জন্য প্রার্থীদের নাম জানানো হবে। প্রথম প্রার্থীতালিকায় ঠাঁই হয়নি দলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, অধুনা রাজ্যসভার সাংসদ বিপ্লব দেবের। বিজেপির সূত্রের খবর, নানা বিতর্কিত মন্তব্য করে বার বার সংবাদ শিরোনামে আসা বিপ্লবকে বিধানসভায় টিকিট দেবে না দল। তবে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ত্রিপুরা পশ্চিম কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ প্রতিমা দেবকে ধনপুর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা হয়েছে। বরদোয়ালি আসন থেকে লড়ছেন রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা।
প্রার্থীতালিকা নিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি এবং সংসদীয় কমিটির সঙ্গে বৈঠক করে শুক্রবার রাতেই রাজ্যে ফেরেন ত্রিপুরার বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য। তাঁর সঙ্গে একই বিমানে ছিলেন উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা, বিপ্লব দেব, মানিক সাহারাও। প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করে রাজীব জানান, প্রার্থীতালিকায় দলিত, মূলবাসী, মহিলা-সহ সকল শ্রেণি এবং বর্ণের প্রতিনিধিত্ব রাখা হয়েছে।
২০১৮ সালের পর এই নির্বাচনেও বিজেপি বিপুল জনসমর্থন নিয়ে জিততে চলেছে, এমনটা দাবি করে রাজীব বলেন, “এই নির্বাচনে কংগ্রেস এবং সিপিএমের জোটকে মানুষ ভাল চোখে নিচ্ছে না। তাই অনেকেই বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।” বিজেপি সূত্রের খবর, প্রদ্যোত দেব বর্মণের তিপ্রামথার সঙ্গে প্রাক্-নির্বাচনী জোট নিয়ে যে কথা চলছিল, তা ভেস্তে গিয়েছে। তবে জোটসঙ্গী আইপিএফটির সঙ্গে আসনবণ্টন নিয়ে এখনও কথা চালিয়ে যাচ্ছে পদ্মশিবির।
২০১৮ সালের নির্বাচনে অনেককে অবাক করে দিয়েই ত্রিপুরায় ২৫ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়েছিল বিজেপি। ৬০ আসনের ত্রিপুরা বিধানসভায় তারা পেয়েছিল ৩৬টি আসন। প্রাপ্ত ভোটের হার ছিল ৪৩.৫৯ শতাংশ ভোট। অন্য দিকে ৪৪.৩৫ শতাংশ ভোট পেয়েও মাত্র ১৬টি আসন নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল বামফ্রন্টকে।