কাশ্মীরে ফাঁকা মাঠে জয়ের পথে বিজেপি

বিক্ষোভ-সন্ত্রাসের জোড়া ধাক্কা তো রয়েইছে। সঙ্গে রয়েছে উপত্যকার প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের নির্বাচন বয়কট। ফলে জম্মু-কাশ্মীরের পুর ও পঞ্চায়েত ভোট শুরুর আগেই কার্যত জয়ের হাসি হাসছে বিজেপি। শতাধিক ওয়ার্ডে একটিও মনোনয়নপত্র জমা না-পড়ার জন্য জঙ্গিদের হুমকিকেই দায়ী করছে রাজনৈতিক দলগুলি। 

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শ্রীনগর শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০১৮ ০৩:৪৬
Share:

বিদায়: ন্যাশনাল কনফারেন্সের কর্মী নাজির আহমেদের মেয়ে। বাড়ির জানলা দিয়ে এ ভাবেই বাবার শেষকৃত্য দেখল খুদে। শুক্রবার। নিজস্ব চিত্র

বিক্ষোভ-সন্ত্রাসের জোড়া ধাক্কা তো রয়েইছে। সঙ্গে রয়েছে উপত্যকার প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের নির্বাচন বয়কট। ফলে জম্মু-কাশ্মীরের পুর ও পঞ্চায়েত ভোট শুরুর আগেই কার্যত জয়ের হাসি হাসছে বিজেপি। শতাধিক ওয়ার্ডে একটিও মনোনয়নপত্র জমা না-পড়ার জন্য জঙ্গিদের হুমকিকেই দায়ী করছে রাজনৈতিক দলগুলি।

Advertisement

২০০৫-এর পরে এই প্রথম পুরভোট ভূস্বর্গে। ৮, ১০, ১৩ এবং ১৬ অক্টোবরে চার দফায় ভোট হবে। গণনা ২০ অক্টোবর। কিন্তু তার আগেই দেখা যাচ্ছে, বিজেপির রাস্তা প্রায় পরিষ্কার। মোট ৬২৪টি পুর-ওয়ার্ডের মধ্যে ১৭৭টিতে কোনও মনোনয়ন জমা পড়েনি। এর মধ্যে অধিকাংশই দক্ষিণ কাশ্মীরের সন্ত্রাসদীর্ণ এলাকায়। বাকি আসনের মধ্যে ২১৫টিতে বিজেপির কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। ভোট হবে বাকি ২৩২টি ওয়ার্ডে।

লড়াই হবে মূলত বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে। কারণ, এই নির্বাচন বয়কট করছে ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি) এবং পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (পিডিপি)। তারা জানিয়েছে, ৩৫এ ধারা নিয়ে কেন্দ্র নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট না-করা পর্যন্ত তারা নির্বাচনে অংশ নেবে না। ৩৫এ নিয়ে মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। নির্বাচন বয়কটের ডাক দিয়েছে বিচ্ছিন্নতাবাদীরাও। তবে বৃহস্পতিবার অন্তত দু’জন বিজেপি প্রার্থী এবং এক জন কংগ্রেস প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেছেন। গন্ডগোলের আশঙ্কায় ৪০০ কোম্পানি অতিরিক্ত বাহিনী পাঠিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বলেছেন, ‘‘আশা করছি ৯০ শতাংশ মানুষ ভোট প্রক্রিয়া অংশ নেবেন।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement