আপাত ভাবে লম্ফঝম্প যতই থাকুক, চোরা আশঙ্কাও যে নেই তা নয়। বিধানসভা এবং পুরনির্বাচনগুলিতে বিজেপির জয় এবং দলীয় নেতৃত্বের চড়া গলা শুনে মনে হতেই পারে, গোটা দেশ দখলের স্বপ্নপূরণ এখন সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু বিজেপি শিবিরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, এই আগ্রাসনের মোড়কের পিছনে রয়েছে আশঙ্কাও। কারণ পরের লোকসভা ভোটে বিরোধীরা এককাট্টা হবেন, এটা এক রকম ধরেই নিয়েছে দল। সেই ‘ঐক্যবদ্ধ’ শক্তির মোকাবিলা করে আসন বাড়ানোর চিন্তাই এখন মোদী-অমিতের মাথাব্যথা।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে সামনে রেখে কাজটি শুরু করেছেন সনিয়া গাঁধী। রোজ একজন করে বিরোধী নেতার সঙ্গে বৈঠকে বসছেন। দিল্লি পুরসভার ফল প্রকাশের পর কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সদর্থক বার্তা দেওয়া হয়েছে কেজরীর উদ্দেশেও।
মোদী সরকারের তিন বছর পূর্ণ হবে আগামী মাসে। তার আগে রাজ্যওয়াড়ি এক সমীক্ষা রিপোর্ট পৌঁছেছে অমিত শাহের টেবিলে। তাতে দেখা যাচ্ছে, গত লোকসভা নির্বাচনে গো-বলয়ের যে সব রাজ্যে বিজেপি ভাল ফল করেছে, সেখানে আসন বাড়ার সুযোগ কম। আসন কমতে পারে উত্তরপ্রদেশেও। কিন্তু মোটের উপর বিজেপি আরও তিরিশটির মতো আসন বাড়িয়ে নিতে পারে— যদি পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, তামিলনাড়ু, ত্রিপুরা এবং ওড়িশায় তারা দাগ কাটতে পারে। কিন্তু বিরোধীরা একজোট হলে বদলে যাবে অঙ্ক। অমিত তাই বলেছেন, ‘‘লোকসভার লড়াইটা সহজ নয়। সকলকে আরও খাটতে হবে।’’
এই খাটার তাগিদে আরও আক্রমণাত্মক হওয়ার কৌশল নিয়েছেন মোদী-অমিত। অমিত নিজে রাজ্যে-রাজ্যে বুথে বুথে ঘুরছেন। ভয় থেকেই কি তবে এত সক্রিয়তা? অমিত মানলেন না সে কথা। তাঁর দাবি, পরাজয়ের ভয়ে নয়। সংগঠনের প্রসারের জন্যই পরিশ্রম করছি। মোদীর নেতৃত্বে এনডিএ-ই ফের সরকার গড়বে।’’