চলছে ভোটগণনা। বুধবার স্বপন রায়ের তোলা ছবি।
পঞ্চায়েত সভাপতি পদের উপ-নির্বাচনে কংগ্রেসের কাছ থেকে বিজেপি আজ ২টি আসন ছিনিয়ে নিয়েছে। এমনকী, সংখ্যালঘু অধ্যূষিত কচুদরম পঞ্চায়েতেও বিজয়ী গেরুয়াবাহিনী।
তবে আজ সকলের নজর ছিল লক্ষ্মীপুর মহকুমার বিন্নাকান্দি উপ-নির্বাচনের ফলাফলের দিকেই। অন্য তিন আসনের সঙ্গে সেখানকার ফলও চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। কংগ্রেসের সত্যবতী কামেই ১ হাজার ৫৪৫ ভোট পেয়েছিলেন। বিজেপির বিদ্যাবতী সিংহের ঝুলিতে দেখানো হয় ১ হাজার ৪৪৪টি ভোট। তখনই বিজেপি নেতাদের নজরে পড়ে, তাদের ৩৩ ভোট কংগ্রেসের ঘরে যোগ করা হয়েছে। শুরু হয় হইচই। হিসেব-নিকেশে ধরা পড়ে, অভিযোগ সত্য। ব্যবধান কমে দাঁড়ায় ৩৫-এ। বিজেপির সন্দেহ, আরও কোথাও গণ্ডগোল হতে পারে। তাঁরা পুনর্গণনার দাবি জানান। কংগ্রেস-বিজেপি উভয় শিবিরের জেলা নেতৃত্ব তখন গণনাকেন্দ্রে ছুটে যান। পৌঁছন জেলাশাসক এস বিশ্বনাথনও। তিনি ফের সমস্ত ভোট গুণে দেখার নির্দেশ দেন। পুনর্গণনায় বিজেপির ভোট আরও বাড়লেও শেষ পর্যন্ত ১৩ ভোটে কংগ্রেসই জয়ী হয়।
শিলচর ব্লকের বরজুরাই ভাগাডহর পঞ্চায়েতও কংগ্রেস নিজের দখলে রাখতে সক্ষম হয়। সেখানে তাদের প্রার্থী রোশন আখতার লস্কর পান ১ হাজার ৪৪২টি ভোট। নির্দল শাবানা ইয়াসমিন পেয়েছেন ৯১০ ভোট। সোনাইয়ের কচুদরমে বিজেপির শেফালিরানি দাস ১ হাজার ৩৩৮টি ভোট পেয়ে নতুন পঞ্চায়েত সভাপতি হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী নির্দল ফতিমা বেগম লস্কর পেয়েছেন ১ হাজার ৬৬ ভোট। কংগ্রেসের সইফুন্নেসা পান ৭৯৬টি ভোট। ধলাইয়ের পানিভরা পঞ্চায়েতে বিজেপির রুক্মিণীকুমার সিংহ ২ হাজার ৪৭০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। কংগ্রেসের সজলকান্তি দেবের ঝুলিতে যায়
৭১৩ ভোট।
বিজেপির জেলা সভাপতি কৌশিক রায় এই ফলাফলে উচ্ছ্বসিত। তিনি বলেন, চার আসনের একটিতেও আগের বার বিজেপি জেতেনি। তার চেয়েও বড় কথা, দু’মাসের সর্বানন্দ সরকার যে ভাল কাজ করছে, ভোটের বাক্সে তারই প্রতিফলন ঘটেছে। শহর বিজেপির সভাপতি দীপায়ন চক্রবর্তীর অভিযোগ, দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট ইন্দ্রাণী লস্কর কংগ্রেসের হয়ে কাজ করেছেন। নইলে তিনটি আসনেই জিততাম। গণনার কাজে নিযুক্ত পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষক ভাস্করজ্যোতি দাসের শাস্তি দাবি করেন তিনি।
অন্য দিকে, জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রাজেশ দেবেরও দাবি, ভাল ফল করেছে কংগ্রেসও। কিছু দিন আগে, বিধানসভা নির্বাচনে জেলার সাতটি আসনের মধ্যে মাত্র একটিতে কংগ্রেস জিতেছিল। এবার চারে দুই হল।