— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
দেশে সাপের কামড়ে প্রতি বছর মারা যান প্রায় ৫০,০০০ মানুষ, সংখ্যাটা বিশ্বে সর্বোচ্চ। সোমবার লোকসভায় এমনই চাঞ্চল্যকর পরিসংখ্যান তুলে ধরলেন বিজেপি সাংসদ রাজীব প্রতাপ রুডি।
বিহারের সারনের সাংসদ বলছেন, প্রতি বছর ভারতে অন্তত ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ মানুষকে সাপে কামড়ায়। তাদের মধ্যে অন্তত ৫০,০০০ মানুষ সঠিক চিকিৎসার অভাবে মারা যান। সাপের কামড়ে মৃত্যুর সংখ্যার নিরিখে বিশ্বে এক নম্বরে রয়েছে ভারত। এই মৃত্যুর হার উদ্বেগজনক।
এর পরেই নিজের রাজ্যের প্রসঙ্গ তুলে রাজীব বলেন, ‘‘বিহার দেশের দরিদ্রতম রাজ্যগুলির একটি। দারিদ্রের সঙ্গে সেখানে রয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। ইদানীং উষ্ণায়নের প্রভাবে জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে। ফলে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সাপের উপদ্রব। সমীক্ষা বলছে, পরিবেশের উষ্ণতা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পেরোলে সাপের কামড়ের মতো ঘটনা বাড়ে।’’
এ ছাড়াও সোমবার সংসদে আলোচনা হয়েছে আরও নানা গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গ। ভেলোরের সাংসদ এম কাথির আনন্দ বিড়ি শ্রমিকদের অবস্থা নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেছেন। এই শ্রমিকদের বেশির ভাগই মহিলা। তাঁদের জন্য কেন্দ্রীয় তহবিলের নির্দিষ্ট অংশ নির্ধারিত রয়েছে, কিন্তু তা পর্যাপ্ত নয়। লোকসভায় বিড়ি শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির আবেদন রেখেছেন তিনি। এ ছাড়াও ধূলিকণার কারণে নানা শ্বাসজনিত সমস্যা, পেশায় অন্যান্য ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে ৬০ বছরের বেশি বয়সি শ্রমিকদের জন্য পেনশন চালু করার অনুরোধ করেছেন তিনি।
তামিলনাড়ুর সাংসদ এস জ্যোতিমনি সোমবার আবার ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষা (নি়ট) নিয়ে। নিট দুর্নীতির দিকে আঙুল তুলে জ্যোতিমনি বলেছেন, ‘‘এখন যাদের সামর্থ্য রয়েছে, কেবল তারাই নিট পাশ করতে পারবে। কারণ প্রশ্নপত্রটি কিনতে খরচ হয় ২৫ লক্ষ টাকা!’’ লাগাতার দুর্নীতির কারণে গত কয়েক বছরে কমেছে গ্রাম থেকে ডাক্তারি পড়তে আসা ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা। তিনি আরও জানিয়েছেন, তামিলনাড়ুতে নিট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন অন্তত ১৮ জন শিক্ষার্থী।