শরদ পওয়ার ছবি: পিটিআই।
আঘাতটা এসেছে শনিবারই। বিজেপির চালে ত্রাহি ত্রাহি রব পড়ে গিয়েছে এনসিপি শিবিরে। এই অবস্থায় রবিবার সকালে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় কাকাড়ে দেখা করলেন ‘মরাঠা স্ট্রংম্যান’ শরদ পওয়ারের সঙ্গে। সুপ্রিম কোর্টে শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোটের দায়ের করা মামলার শুনানির আগেই এই সাক্ষাৎ ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে।
কাকাড়ে অবশ্য সংবাদ সংস্থাকে জানাচ্ছেন, ব্যক্তিগত কারণেই দেখা করতে এসেছিলেন শরদ পওয়ারের সঙ্গে। এ দিনের বৈঠকে কাকাড়ে- শরদ পওয়ারের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন এনসিপি নেতা জয়ন্ত পাটিলও। শনিবারই অজিত পওয়ারের জায়গায় পরিষদীয় নেতা হিসেবে অভিষেক ঘটেছে জয়ন্ত পাটিলের।
পওয়ার পরিবারের সঙ্গে কাকাড়ের ঘনিষ্ঠতা অনেক দিনের। এনসিপি ভেঙে অজিত পওয়ার বেরিয়ে আসতে পারেন, এমন ইঙ্গিতও নাকি দিয়েছিলেন কাকাড়ে। মহারাষ্ট্রে ভোটপর্ব মেটার পরে বিজেপির তরফে শরদ পওয়ারের সঙ্গে প্রথম যোগাযোগ করেছিলেন কাকাড়েই। যদিও সেই চেষ্টা কাজে আসেনি।
আরও পড়ুন:ফিরলেন এক বিধায়ক, এখনও ‘নিখোঁজ’ বেশ কয়েক জন, এনসিপি-তে চলছে মাথা গোনার কাজ
আরও পড়ুন:মহারাষ্ট্র লাইভ: রাজ্যপাল কারও নির্দেশে কাজ করেছেন, না হলে এমন হত না, বললেন সিব্বল
সে সময় রাজ্যসভার সাংসদ কাকড়ে আরও দাবি করেছিলেন, শিবসেনার ৪৫ জন বিধায়ক ফডণবীসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তাঁরা জোট সরকার চান। তারপর বহু জল গড়িয়েছে। শিবসেনা-বিজেপির জোট ছিন্ন হয়েছে। সেনা-কংগ্রেস-এনসিপির সরকার গড়া প্রায় যখন নিশ্চিত তখন অজিত পওয়ার রাতারাতি অক্সিজেন দিয়েছেন বিজেপিকে। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে ফেলেছেন দেবেন্দ্র ফডণবীস। এই আবহে সঞ্জয়-শরদ ‘ব্যক্তিগত’ বৈঠক নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।