স্কুলের মেয়েদের জন্য নতুন একটি ফতোয়া দিলেন বিজেপি নেতারা। আর তা নিয়ে ফের সূত্রপাত হল বিতর্কের।
পোশাক নয়, এ বার স্কুলের মেয়েদের হাতে মোবাইল ফোনের ঘোরাঘুরিটাও আর পছন্দ হচ্ছে না তাঁদের। তাঁরা মনে করছেন, মোবাইল ফোনের জন্যই বিপথে চলে যাচ্ছে অল্প বয়সী মেয়েরা। তাই অভিভাবকদের তাঁরা পরামর্শ দিয়েছেন, মেয়েদের হাতে মোবাইল ফোন তুলে দেবেন না।
উত্তরপ্রদেশের যে দুই বিজেপি নেতা অভিভাবকদের এই পরামর্শ দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন এক মহিলাও! তিনি আলিগড়ের মেয়র শকুন্তলা ভারতী। তাঁর সঙ্গী হয়েছেন আলিগড়ের বিজেপি বিধায়ক সঞ্জীব রাজা।
রবিবার, আলিগড়ের বারা দুয়ারিতে উদয় সিংহ ইন্টার-কলেজ ইভেন্টের অনুষ্ঠানে তাঁরা বলেছেন, ‘‘স্কুলের মেয়েদের তো মোবাইল ফোন ব্যবহার করার কোনও প্রয়োজন হয় না। ওরা বাড়ি থেকে বেরিয়ে স্কুলে যায়। আর স্কুল শেষ হলে বাড়ি ফিরে আসে। তা হলে শুধু শুধু কেন স্কুলের মেয়েদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে মোবাইল ফোন? এটা একেবারেই নিষিদ্ধ করা উচিত। কেন আলিগড়ের অল্প বয়সী মেয়েরা আগের চেয়ে অনেক বেশি করে বিপথে যাচ্ছে, তার অন্যতম কারণ, মোবাইল ফোন ব্যবহারের বাড়াবাড়ি। অভিভাবকদের বলছি, আপনারা ওই বাড়াবাড়িটা বন্ধ করার ব্যবস্থা নিন। এমন কিছু করুন, যাতে স্কুলের অল্প বয়সী মেয়েদের সঙ্গে মোবাইল ফোনের আড়ি হয়ে যায়। ওদের হাতে মোবাইল ফোন তুলে দেবেন না।’’
আরও পড়ুন- ‘দেহব্যবসা চালাচ্ছেন বিজেপির মহিলা বিধায়ক’ মন্তব্যে গ্রেফতার ডিএসপি
রাস্তায় হাঁটা বা স্কুটার-বাইকে চেপে আসা-যাওয়ার সময় মেয়েরা যে মুখ কাপড় দিয়ে ঢেকে নেন, সেটাও একেবারেই পছন্দ নয় ওই দুই বিজেপি নেতার। শকুন্তলা, সঞ্জীব বলেছেন, ‘‘মুখ ঢাকার দরকারটা কীসের? মুখ ঢেকে রাস্তায় বেরতে হবে কেন? মেয়েরা যাতে আর সেটা না করে, মা, বাবারা দেখুন।’’
আলিগড়ের মেয়র শকুন্তলা ভারতীকে নিয়ে বিতর্ক অবশ্য এই প্রথম নয়। গরুর মাংস বিক্রির ‘অপরাধে’ গত বছর তিনি আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিন বন্ধ করে দিয়েছিলেন।
এর আগেও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে শকুন্তলা বহু বার বলেছেন, তাঁর জীবনের মূল দু’টি লক্ষ্য রয়েছে। এক, গোহত্যা বন্ধ করা। দুই, ‘লাভ জিহাদ’-এর হাত থেকে হিন্দু মেয়েদের বাঁচানো।