প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। — ফাইল চিত্র।
ব্যবধান মাত্র ৪টি আসনের। সংসদের উচ্চ কক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতার দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ। ওই চারটি আসন পেয়ে গেলেই কোনও বিতর্কিত বিল পাশ করাতে বিজেডি, ওয়াইএসআর কংগ্রেসের মতো দলগুলির মুখাপেক্ষী হতে হবে না নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহদের।
নরেন্দ্র মোদীর জমানার দু’দফায় লোকসভায় এনডিএ-র বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও রাজ্যসভায় পর্যাপ্ত আসন ছিল না শাসক জোটের। সংসদের উচ্চ কক্ষে এ বার সম্ভবত কাঙ্ক্ষিত সংখ্যার অভাব ঘুচতে চলেছে। চলতি সপ্তাহে যে ৫৬টি আসনে রাজ্যসভার নির্বাচন হল তাতে বিজেপি পেয়েছে ৩০টি। গত কাল তিন রাজ্যে যে ১৫টি আসনে নির্বাচন হয় তাতে ১০টি জিতেছেন পদ্ম প্রার্থীরা। এর মধ্যে উত্তরপ্রদেশ ও হিমাচল প্রদেশে ‘ক্রস ভোটিং’-এর কারণে দু’টি বাড়তি আসন দখল করতে পেরেছে বিজেপি।
বর্তমানে রাজ্যসভায় বৃহত্তম দল বিজেপি। নতুন সদস্যেরা শপথ নেওয়ার পরে বিজেপির সাংসদ সংখ্যা দাঁড়াবে ৯৭-এ। আর এনডিএ-র সাংসদ সংখ্যা বেড়ে ১১৭ হবে। এখন রাজ্যসভায় সদস্য সংখ্যা ২৪০। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১২১ জনের সমর্থন। অর্থাৎ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে চার আসন দূরে মোদী-শাহেরা। রাজ্যসভার সচিবালয় জানিয়েছে, রাজ্যসভার শক্তি ২৪৫ হলেও, রাষ্ট্রপতি শাসন জারি থাকায় জম্মু-কাশ্মীরের চারটি আসন বিগত কয়েক বছর ধরে ফাঁকা হয়েছে। এ ছাড়া, এক জন রাষ্ট্রপতি মনোনীত প্রার্থীর পদও খালি রয়েছে। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কংগ্রেস। তাদের সদস্য সংখ্যা ২৯।
গত ডিসেম্বরে রাজস্থান, ছত্তীসগঢ় ও মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতা দখল, বিহারে ফের নীতীশ কুমারের হাত ধরে ক্ষমতায় ফেরায় আগামী বছর যে রাজ্যসভার নির্বাচন হবে, তাতে এনডিএ সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছুঁয়ে ফেলতে পারবে বলে আশা বিজেপি নেতৃত্বের। বিজেপির এক
নেতার কথায়, ‘‘লোকসভায় দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও, রাজ্যসভায় তা ছিল না। ফলে কিছু ক্ষেত্রে, বিশেষ করে বিতর্কিত বিল পাশ করানোর ক্ষেত্রে অন্য দলের সমর্থনের উপর নির্ভর করতে হত। আশা করছি, এ বছরের পরে তার প্রয়োজন হবে না।’’