বিজেপি নেতা কিরীট সোমাইয়া। ছবি: পিটিআই।
বিজেপি নেতা কিরীট সোমাইয়ার ‘অশালীন’ ভিডিয়ো টেপ নিয়ে উত্তাল মহারাষ্ট্রের রাজনীতি। বিরোধীরা কটাক্ষ করে বলেছেন, নৈতিকতার কথা বলে বেড়ায় যে বিজেপি, এবার তাদের প্রকৃত ছবিটা সামনে এসে পড়েছে। কংগ্রেসের যশোমতী ঠাকুরের কথায়, ‘‘কিরীট সোমাইয়া অনেক সাংসদ ও বিধায়ককে ব্ল্যাকমেল করেছেন। এখন দেখছি, তিনি অসংখ্য মহিলাকেও ব্ল্যাকমেল করেছেন। শুনেছি আট ঘণ্টার ভিডিয়ো ক্লিপ রয়েছে। ভাবতেও পারছি না কত সংখ্যক মহিলাকে হেনস্থা করা হয়েছে।’’ আনন্দবাজার এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করে দেখেনি। তবে বিতর্কের মধ্যে কিরীট বলেছেন, ‘‘আমি নিজে কোনও মহিলাকে হেনস্থা করিনি। দেবেন্দ্র ফডণবীসকে অনুরোধকরছি ব্যাপারটা নিয়ে তদন্ত হোক ও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করা হোক।’’ মহারাষ্ট্রের জোট সরকারের তরফে অবশ্য এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
মহারাষ্ট্রের একটি নিউজ চ্যানেলে বিজেপি নেতা কিরীট সোমাইয়ার ভিডিয়ো প্রকাশ পেতেই রাজ্য রাজনীতিতে বিস্ফোরণ ঘটে যায়। কংগ্রেস ও উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা শাসক জোটকে আক্রমণ করতে নেমে পড়ে। তাদের দাবি, এই ধরনের আরও ভিডিয়োর অস্তিত্ব রয়েছে। একটি মরাঠী চ্যানেলে সম্প্রচার হওয়া ভিডিয়োতে সোমাইয়াকে ‘আপত্তিকর অবস্থায়’ দেখা গিয়েছে। এরপরেই মহারাষ্ট্রের শাসক জোটকে নিশানা করে কংগ্রেস বলেছে, ‘বিজেপির ভণ্ডামির মুখোশ খুলে গিয়ে প্রকৃত চেহারাটা সামনে চলে এসেছে।’ কংগ্রেস বিধায়ক যশোমতী ঠাকুর বলেছেন, ‘‘যে বিজেপি নৈতিকতার শিক্ষা দিয়ে বেড়ায়, তাদের উচিত কিরীট সোমাইয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।’’
সোমাইয়ার নাম না করে উদ্ধব শিবিরের নেতা সঞ্জয় রাউত শিবসেনা প্রতিষ্ঠাতা বালাসাহেব ঠাকরের উদ্ধৃতি তুলে ধরে বলেছেন, ‘‘নিজের কাজের জন্য যে শেষ হয়ে যাবে, ধর্মের নামে তাকে শেষ করার প্রয়োজন নেই।’’ তাঁর কথায়, ‘‘বালাসাহেব যা বলেছিলেন, এখন সেটাই ঘটছে। আরও অনেক কিছুই ঘটবে।’’
দুর্নীতির অভিযোগ ও দল ভাঙানোকে ঘিরে বেশ কিছুদিন ধরেই মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে টালমাটাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে এনসিপি নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে সরব ছিলেন কিরীট সোমাইয়া। তবে দল ভেঙে অজিত পওয়ার গোষ্ঠী শিন্ডে সরকারের যোগ দেওয়ার পর থেকে নীরবতার রাস্তাই বেছে নিয়েছিলেন বিজেপি নেতা। কিন্তু এবার তাঁকে ঘিরেই উত্তাল হয়ে উঠেছে মহারাষ্ট্রে রাজনীতি।