গিরিরাজ সিংহ। —ফাইল চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উনের সঙ্গে তুলনা করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ। শুক্রবার দুপুরে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির পরে রাতে বনগাঁর হিংসার পরিপ্রেক্ষিতে রাতে পটনায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র বলে আর কিছু নেই। মনে হচ্ছে, কিম জং উনের সরকার চলছে। এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের গণতন্ত্র। অধীর চৌধুরী তো আগেই বলেছিলেন, এখানে খুন হয়ে গেলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই।”
এখানেই না থেমে আরও বিশদে মমতা সরকারকে নিশানা করেছেন গিরিরাজ। তাঁর কথায়, “যাঁরাই উত্তর কোরিয়ায় কিমের বিরোধিতা করেন তিনি তাঁদের নিজের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেন। মমতাও সেই কাজই করছেন। তিনি পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে বিজয় মিছিল করতে দিচ্ছেন না। যে ভাবে মমতা সরকার চালাচ্ছেন তাতে মনে হয় তিনি সংবিধানের প্রতি আস্থাশীল নন। দেশের প্রধানমন্ত্রীকে তিনি প্রধানমন্ত্রী বলেই মনে করেন না। তিনি কোনও ব্যবস্থা দ্বারাই পরিচালিত হতে রাজি নন। তবে বাংলার মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁর দিন ফুরিয়ে এসেছে। মানুষ উন্নয়ন চান।”
রাজধানীর রাজনৈতিক শিবির বলছে, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর সঙ্গে একশো দিনের কাজের বকেয়া কেন্দ্রীয় অনুদান নিয়ে তৃণমূল সরকারের দীর্ঘদিনের সংঘাত চলছে। তৃণমূল শিবিরের মতে, আজ সুযোগ পাওয়ায় তৃণমূলকে নিশানা করলেন মন্ত্রী। একশো দিনের কাজ এবং প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় (গ্রামীণ) বকেয়া না মেটানোয় বারবার গিরিরাজের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেছে তৃণমূলের সংসদীয় দল। এড়িয়ে গিয়েছেন মন্ত্রী। দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দু’বার তাঁর অফিসে গিয়ে দেখা পাননি। শেষ বার মন্ত্রীর দরজার সামনে অবস্থান করায় পুলিশ দিয়ে চ্যাংদোলা করে বার করে নিয়ে গিয়ে আটক করা হয়েছে অভিষেক-সহ সাংসদদের।
২০২৩-এর ডিসেম্বরে শীতকালীন অধিবেশনের গোড়ায় সুদীপকে গিরিরাজ বলেন, ‘‘সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে এই নিয়ে বৈঠক করতে বলুন, তাহলে সমাধান বেরোতে পারে।’’ কিন্তু বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে আসায় গিরিরাজ এই বক্তব্য অস্বীকার করেছিলেন।