হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই পরিচারিকা কথা বলতেও পারছেন না বলে সূত্রের খবর। ছবি : টুইটার থেকে।
বাড়ির কাজে সাহায্যকারী এক আদিবাসী মহিলাকে লোহার রড দিয়ে মেরে দাঁত ভেঙে দিয়েছিলেন ঝাড়খণ্ডের এক সাসপেন্ড হওয়া বিজেপি নেত্রী। এমনকি মেঝেতে পড়ে থাকা প্রস্রাব তাঁকে চেটে পরিষ্কার করতেও বাধ্য করেছিলেন তিনি। বুধবার সেই সাসপেন্ড হওয়া নেত্রীকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
বিজেপির ওই সাসপেন্ড হওয়া নেত্রীর নাম সীমা পাত্র। যিনি অধুনা সাসপেন্ড হলেও ঘটনার সময় বিজেপিরই মহিলা মোর্চার সদস্য ছিলেন। এমনকি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘বেটি বঁচাও, বেটি পড়াও’ প্রকল্পেরও এক জন অন্যতম আহ্বায়ক ছিলেন সীমা। প্রাক্তন আইএএস কর্তার স্ত্রী সীমার বিরুদ্ধে পরিচারিকাকে অত্যাচারের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর।
‘ভয়েস অব দলিতস’ নামে একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা ওই ভিডিয়োয় সুনিতা নামের এক আদিবাসী মহিলাকে দেখা গিয়েছে। যিনি অসুস্থ এবং কিছু একটা বলার চেষ্টা করছেন। কিন্তু তা না বলতে পেরে তাঁর চোখে-মুখে ফুটে উঠছে আতঙ্ক। ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে ওই মহিলার দাঁত ভেঙে গিয়েছে। তাঁর শরীরেও একাধিক আঘাতের চিহ্ন। সেই ভিডিয়োর বিবরণেই লেখা ছিল ওই মহিলার সঙ্গে ঘটে চলা গত আট বছরের অত্যাচারের কথা। পরে জানা যায়, ওই মহিলা আট বছর ধরে কর্মরত সীমার বাড়িতে। তাঁকে প্রস্রাব খেতে দেওয়া হত এমনকি গরম লোহার রড, গরম চাটু দিয়ে শারীরিক অত্যাচারও করা হত।
এ বিষয়ে সীমার বিরুদ্ধে মহিলা কমিশনে অভিযোগ করা হলে, তাঁকে সাসপেন্ড করা হয় বিজেপি থেকে। বুধবার তাঁকে গ্রেফতার করল পুলিশ।