উদ্ধব ঠাকরে এবং দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। ফাইল চিত্র।
প্রয়াত বালাসাহেব ঠাকরের জন্মদিবসের পরেই নতুন করে বাগ্যুদ্ধে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন দুই সহযোগী। রবিবার শিবসেনা প্রতিষ্ঠাতা বালাসাহেবের ৯৬তম জন্মদিনে এক সভায় তাঁর ছেলে তথা মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব বলেছিলেন, বিজেপি-র সহযোগী হিসেবে ২৫ বছর থেকে তাঁদের দলের কোনও লাভ হয়নি। সোমবার তার জবাবে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা দেবন্দ্র ফড়ণবীস বললেন, ‘‘বোঝা যাচ্ছে সদ্যসমাপ্ত পুরভোটে চতুর্থ স্থান পেয়ে শিবসেনা হতাশ হয়ে পড়েছে।’’
গত সপ্তাহে মহারাষ্ট্রের পুরভোটে ১,৬৪৯টি ওয়ার্টের মধ্যে ৩৮৪টি দখল করে বিজেপি। এনসিপি ৩৪৪, কংগ্রেস ৩১৬ এবং শিবসেনা ২৮৪টি ওয়ার্ডে জেতে। সেই ফল নিয়েই শিবসেনা প্রধানের উদ্দেশে ফড়ণবীসে এই খোঁচা।
বালাসাহেবের জন্মদিবসের সভায় বিজেপি-র বিরুদ্ধে ধর্মকে রাজনীতির হাতিয়ার করারও অভিযোগ তুলেছিলেন শিবসেনা সভাপতি উদ্ধব। তিনি বলেন, ‘‘আমরা হিন্দুত্বকে তুলে ধরতে ক্ষমতা চেয়েছিলাম। কিন্তু ওঁরা (বিজেপি) হিন্দুত্ব চান ক্ষমতা দখলের জন্য। ওঁরা হিন্দুত্বের চামড়া গায়ে দিয়ে রয়েছেন। মানুষ আমাদের প্রশ্ন করেন, আমরা কি হিন্দুত্ব পরিত্যাগ করেছি? না আমরা বিজেপি-কে ত্যাগ করেছি, হিন্দুত্বকে নয়। বিজেপি মানে হিন্দুত্ব নয়।’’ জবাবে ফড়ণবীসের মন্তব্য, ‘‘মুম্বই পুরসভায় যখন বিজেপি-র নির্বাচিত প্রতিনিধি ছিলেন, তখন শিবসেনার জন্মই হয়নি। ১৯৮৪ সালে বিজেপি-র টিকিটে ভোটে দাঁড়িয়েছিল শিবসেনা।’’
হিন্দুত্ব-বিতর্কে রামজন্মভূমি আন্দোলনে শিবসেনা নেতার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ফড়ণবীস। উদ্ধবের উদ্দেশে তাঁর মন্তব্য, ‘‘রামজন্মভূমি আন্দোলনের সময় কোথায় ছিলেন আপনি? আমরা লাঠি-গুলি খেয়েছিলাম। আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে অযোধ্যায় রামমন্দির তৈরি হচ্ছে।’’ প্রসঙ্গত, নব্বইয়ের দশকের গোড়ায় অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণ আন্দোলনে শিবসেনা সক্রিয় ভাবে অংশ নিলেও বালাসাহেব-পুত্র তখনও সক্রিয় রাজনীতিতে আসেননি।