প্রিয়ঙ্কার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন মায়াবতী (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোটের বাদ্যি বাজার পর থেকেই বিএসপি নেত্রী মায়াবতীকে দেখা যাচ্ছে, এসপি নেতা অখিলেশ যাদবকে ধারাবাহিক ভাবে আক্রমণ করতে। এ বার সমাজবাদী পার্টির পাশাপাশি কংগ্রেসকেও আক্রমণ করতে ছাড়লেন না দলিত নেত্রী। অথচ রাজনৈতিক শিবিরের মতে, বিজেপি তথা যোগী আদিত্যনাথের গত পাঁচ বছরের শাসন নিয়ে সে ভাবে অভিযোগে সরব হতে দেখা যাচ্ছে না বিএসপি নেত্রীকে। কিন্তু বিজেপি-বিরোধী শিবিরে বিভাজন ঘটাতে সব সময়েই সক্রিয় তিনি। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরার মুখ্যমন্ত্রী সংক্রান্ত মন্তব্য এবং বিতর্ক নিয়েও মুখ খুলেছেন মায়াবতী। তাঁর অভিযোগ, কংগ্রস আসলে বিজেপি-বিরোধী ভোট ভাগ করতেই সক্রিয়। তাদের অবস্থা এতটাই খারাপ যে, তাদের মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থীকেও অবস্থান বদলাতে হয়!
শুক্রবার প্রিয়ঙ্কাকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য কংগ্রেসের মুখ কে? উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘আপনি কি অন্য কোনও মুখ দেখতে পাচ্ছেন? সর্বত্র তো আমারই মুখ দেখা যাচ্ছে!’’ কংগ্রেস নেত্রীর এই কথাতেই জল্পনা ছড়ায়। অবশ্য শুক্রবার রাতেই প্রিয়ঙ্কা তাঁর মন্তব্যের ব্যাখ্যা দেন, তিনি হাল্কা চালে ওই উত্তর দিয়েছিলেন। জানান, তাঁকেই মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থী হিসেবে ধরে নেওয়াটা ভুল হবে।
এই প্রসঙ্গ তুলে মায়াবতীর হিন্দি টুইট, “উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের অবস্থা ক্রমশ এতটাই খারাপ হচ্ছে যে, তাদের মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থীকে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অবস্থান বদলাতে হচ্ছে। এই অবস্থায় মানুষের উচিত, কংগ্রেসকে ভোট দিয়ে নিজেদের ভোটটা নষ্ট না করা। সবাই একযোগে বিএসপিকে ভোট দিন।” এখানেই না থেমে মায়া বলেন, “উত্তরপ্রদেশে কগ্রেসের মতো দলগুলি আসলে ভোট কাটতে আসে। মানুষ তা জানে।”
আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে সাত দফায় উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন। অখিলেশ যাদব মইনপুরির কারহাল থেকে লড়ার সিদ্ধান্ত নিলেও লড়ছেন না মায়াবতী। কংগ্রেস শিবিরের বক্তব্য, মায়াবতী নিজে যে রাজনৈতিক পদক্ষেপগুলি করছেন, তার থেকে স্পষ্ট, ভোট কেটে তিনি আখেরে বিজেপিরই সুবিধা করে দিতে চাইছেন। যে আসনগুলিতে বিরোধীরা শক্তিশালী, সেখানে প্রার্থী দিচ্ছেন মায়াবতী। এসপি শিবিরের অভিযোগ, মায়াবতীর প্রার্থী তালিকা থেকে স্পষ্ট, প্রথম দফার ৫৮টি আসনে মুসলমান অধ্যুষিত এলাকায় অখিলেশের শিবিরের ভোট ভাগ করে বিজেপির সুবিধা করে দেওয়ার জন্যই কোমর বেঁধে লেগেছেন বিএসপি নেত্রী।