বিরোধীদের ঘর ভেঙে শক্তি বাড়ানোর ছক

উত্তরপ্রদেশের জয়ের রেশ এখনও কাটেনি। এরই মধ্যে লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে বিরোধী দলে ভাঙন ধরিয়ে শক্তি বাড়াতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহরা।বিজেপি সূত্রের মতে, দল নিশ্চিত পরের লোকসভায় মোদীকে ঠেকাতে বিরোধীরা একজোট হবে।

Advertisement

দিগন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০১৭ ০৩:২২
Share:

উত্তরপ্রদেশের জয়ের রেশ এখনও কাটেনি। এরই মধ্যে লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে বিরোধী দলে ভাঙন ধরিয়ে শক্তি বাড়াতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহরা।

Advertisement

বিজেপি সূত্রের মতে, দল নিশ্চিত পরের লোকসভায় মোদীকে ঠেকাতে বিরোধীরা একজোট হবে। পরস্পর-বিরোধী দলগুলির সকলের এক ছাতার তলায় আসা মুশকিল। কিন্তু বিজেপির কৌশল, বিরোধীদের কোমর ভেঙে যতটা দুর্বল করা যায়। বিরোধী দলগুলির অনেকেই বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।

উত্তরপ্রদেশের ভোটের আগেই মায়াবতীর দল থেকে স্বামী প্রসাদ মৌর্য, ব্রিজেশ পাঠক, দারা সিংহ চৌহান, লক্ষ্মী নারায়ণ চৌধুরীকে বিজেপিতে নিয়ে এসেছেন অমিত শাহ। পুরস্কার হিসেবে এঁদের সকলকে যোগী সরকারে মন্ত্রী করা হয়েছে। দলিত নেতা যুগল কিশোরও বিজেপিতে এসেছেন। বিজেপির এক নেতার কথায়, মায়াবতীর সম্বল এখন নাসিমুদ্দিন সিদ্দিকি আর ব্রাহ্মণ মুখ সতীশ মিশ্র। সিদ্দিকিকে বিজেপি চাইছে না। কিন্তু লোকসভার আগে সতীশ মিশ্রকে দলে টানার কথা ভাবা হচ্ছে। সতীশের কোনও প্রতিক্রিয়া অবশ্য পাওয়া যায়নি।

Advertisement

আরও পড়ুন: দুর্নীতি মানব না, রাজনীতি ছেড়ে আলুর দোকান ছাত্রনেতার

আজ সকালে বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠকে নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতেই অনন্ত কুমার বলেন, কংগ্রেস ছেড়ে এস এম কৃষ্ণ বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এ বার প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এম ভি রাজশেখরনও বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। এপ্রিলের মাঝামাঝি ভুবনেশ্বরে জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক করতে যাচ্ছেন মোদী-শাহ। তার আগে নবীন পট্টনায়েকের দল বিজেডিতেও ফাটল ধরানোর কাজ শুরু হয়েছে। বিজেডির সাংসদ তথাগত শথপথী অভিযোগ করেছেন, একদা নবীনের ঘনিষ্ঠ জয় পাণ্ডা বিজেপির হয়ে দলে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা করছেন। ওড়িশায় পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি ভাল ফল করার পরে পান্ডা নিজের দলেরই সমালোচনা করেছিলেন। যদিও পান্ডা আজ দাবি করেন, তিনি বিজেপিতে যাচ্ছেন না, দল ভাঙার চেষ্টাও করছেন না। এর আগে অমর সিংহকে কাজে লাগিয়ে বিজেপি সুকৌশলে যাদব পরিবারে ফাটল ধরাতে সক্ষম হয়েছে। পরিবারের কোন্দলের খেসারতও দিয়েছেন অখিলেশ। অমর এখনও সক্রিয়। এ ছাড়া, জয়ললিতার মৃত্যুর পর এডিএমকে-তেও ফাটল ধরিয়েছে বিজেপি। আজও পনীরসেলভমের সমর্থক মৈত্রেয়ণ দেখা করেন অরুণ জেটলির সঙ্গে। আর গত কালই কেজরীবালের দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বিধায়ক বেদ প্রকাশ। অনেকেই মনে করছেন, সংখ্যালঘু হয়েও যে ভাবে গোয়া, মণিপুরে সরকার গড়েছে বিজেপি, তাতে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। বিজেপি অবশ্য দল ভাঙানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement