ছবি পিটিআই।
শরিকদের নিয়েও এখনও সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। তবুও একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ বিল রাজ্যসভায় পাশ করিয়ে নিচ্ছে বিজেপি। ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের পর গতকাল যে ছবিটি ফের দেখা গেল নাগরিকত্ব বিল পাশের সময়।
২৪৫ আসনের রাজ্যসভায় এই মুহূর্তে সদস্য রয়েছেন ২৪০ জন। গত কাল ভোটাভুটির সময় উপস্থিত থাকলেন ২২৪ জন। তাতে সরকারের পক্ষে ভোট পড়ল ১২৫ জনের, আর বিপক্ষে ৯৯ জনের। ভোট দেননি ১৬ জন। তার মধ্যে শাসক শিবিরের সমর্থনে গরহাজির রইলেন মাত্র তিন জন, বাকি ১৩ বিরোধীদেরই।
রাজ্যসভার সচিবালয় সূত্রের মতে, বিজেপির দুই সাংসদ অনুপস্থিত ছিলেন। দু’জনেই অসুস্থ। আর এক জন নির্দল সাংসদ, অসুস্থ অমর সিংহ উপস্থিত থাকলে বিজেপির পক্ষেই ভোট পড়ত। কিন্তু বিরোধী শিবিরের ১৩ জনের মধ্যে শিবসেনার তিন জন আগেই ওয়াক আউট করে। মহারাষ্ট্রের আর একটি দল শরদ পওয়ারের এনসিপি-র দু’জন সাংসদ অনুপস্থিত। তার মধ্যে এক জন অসুস্থ। অসুস্থ ছিলেন নির্দল বীরেন্দ্র কুমার, সমাজবাদী পার্টির বেণীপ্রসাদ বর্মা। তৃণমূলের কে ডি সিংহ, টিআরএস-জেডিএস-এর একজন, কংগ্রেসের মুকুট মিথি আর মায়াবতীর দলের দুই সাংসদও হাজির ছিলেন না।
অসুস্থতা সত্ত্বেও কংগ্রেসের বর্ষীয়ান সাংসদ মোতিলাল ভোরাকে সংসদে নিয়ে আসা হয়। তা হলে কেন বিরোধীদের সকলের উপস্থিতি সুনিশ্চিত করা গেল না? মায়াবতী বিলের বিরুদ্ধে মত দিলেও তাঁর দলের ৪ জন সাংসদের মধ্যে অর্ধেকই কেন অনুপস্থিত রইলেন? মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস-এনসিপির সঙ্গে সরকার গড়লেও শিবসেনা কেন বিলের বিপক্ষে ভোট দিল না? আজ দিনভর সংসদের সেন্ট্রাল হলে এই প্রশ্নই ঘুরেফিরে এল সাংসদদের মুখে। দিনের শেষে মহারাষ্ট্রে মন্ত্রক বণ্টনে অবশ্য কংগ্রেসকে বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে তাদের ক্ষোভ কিছুটা পুষিয়ে দিয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে। কিন্তু সংখ্যা জোগাড়ে যে বিজেপি এখন সেরা, সেটি মানছেন বিরোধী নেতারা। তবে কংগ্রেসের এক নেতার যুক্তি, ‘‘যখন যে সরকারে থাকে, তাদের দাপট তো বেশি থাকেই। ফলে প্রভাব খাটানোর সুযোগও বেশি। তা না হলে জেডিইউ-র মধ্যে নাগরিকত্ব বিল নিয়ে প্রকাশ্য বিরোধ সত্ত্বেও কেন অবস্থান বদল করলেন না নীতীশ কুমার? খোদ উদ্ধব ঠাকরে লোকসভার অবস্থান বদলের কথা ঘোষণা করলেও বিলের বিরুদ্ধে সেনা ভোট দিল না? মায়াবতীর পরোক্ষ সমর্থন তো আরও প্রকট ভাবে দেখা যাচ্ছে। উত্তর-পূর্বে আগুন জ্বললেও সেখানকার অধিকাংশ ছোট দল বিলের পক্ষেই ভোট দিয়েছে।’’