যোগী আদিত্যনাথ। —ফাইল চিত্র।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি থেকে যোগী আদিত্যনাথকে সরানো কঠিন বলে মনে করছেন বিজেপি নেতৃত্ব। সে ক্ষেত্রে তাঁকে সামনে রেখেই ২০২৭-এর উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করতে হবে বিজেপিকে। তা সে যতই লোকসভা নির্বাচনে খারাপ ফলের দায় তাঁর উপরে চাপানোর চেষ্টা হোক না কেন।
আজ নীতি আয়োগের বৈঠকের পরে বিজেপির সদর দফতরে বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, জে পি নড্ডার দু’দিনের বৈঠক শুরু হয়েছে। বিজেপির মোট ১৩ জন মুখ্যমন্ত্রী ও ১৫ জন উপমুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন। লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরে এই প্রথম বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন। সম্মেলনের মূল আলোচ্য বিষয়— লোকসভা নির্বাচনের পর্যালোচনা, বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে কাজের অগ্রগতি এবং আসন্ন মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড ও দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি। লোকসভা ভোটে মহারাষ্ট্র, হরিয়ানায় বিজেপি মোটেই ভাল করেনি। সেটা চিন্তায় রাখছে মোদী-শাহকে।
শনিবার এই বৈঠকের আগেই বিজেপির সাংগঠনিক সম্পাদক বি এল সন্তোষ শুক্রবার রাতে দিল্লির উত্তরপ্রদেশ সদনে গিয়ে যোগীর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন। বিজেপি সূত্রের মতে, লোকসভা ভোটে বিজেপির খারাপ ফল হলেও যোগীর জনপ্রিয়তা এখনও অটুট। তাই রাজ্যে বিজেপির ফল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পর্যালোচনা রিপোর্টকে সামনে রেখে আলোচনা হবে। যোগী নিজে রাজ্যের প্রতিটি ডিভিশনের সাংসদ, বিধায়ক ও অন্য জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে ভোটের ফল নিয়ে আলোচনা করে এসেছেন। যোগীর ডাকা বৈঠকে তাঁর দুই উপমুখ্যমন্ত্রী হাজির ছিলেন না। বিশেষত কেশবপ্রসাদ মৌর্য বিজেপির বৈঠকে যোগীর দিকেই আঙুল তুলে বলেছিলেন, সরকারের থেকে সংগঠন বড়। সংগঠনের থেকে কেউ বড় নয়। আজকের বৈঠকে অবশ্য কেশব এবং গজেশ পাঠক, দুই উপমুখ্যমন্ত্রীই যোগীর পিছনে বসেছিলেন।
নীতি আয়োগ ও বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীদের সম্মেলন উপলক্ষে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহের সঙ্গেও মোদী মুখোমুখি হচ্ছেন। গত বছর মে মাস থেকে মণিপুরে হিংসা শুরুর পরে তাঁদের সাক্ষাৎ হয়নি। বিজেপি সূত্রের খবর, বীরেনকেও মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরানোর সম্ভাবনা কম। তার বদলে সরকার শান্তি ফেরানোকেই প্রাথমিক লক্ষ্য করতে চাইছে।