সজ্জন কুমারের সাজা নিয়ে কমল নাথ ও গাঁধী পরিবারকে নিশানা করল বিজেপি।—ছবি পিটিআই।
শিখ-বিরোধী দাঙ্গার মামলায় সজ্জন কুমারের সাজা নিয়ে কমল নাথ ও গাঁধী পরিবারকে নিশানা করল বিজেপি। কিন্তু দিনের শেষে ইটের বদলে পাটকেল উড়ে এল নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের দিকে। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পরে কমল নাথ জানালেন, তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর-ই নেই। অন্য দিকে কংগ্রেস প্রশ্ন তুলল, মোদী-অমিত শাহ গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে চুপ কেন?
দিল্লি হাইকোর্ট রায় দিতেই সংসদ ভবন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন নরেন্দ্র মোদীর সেনাপতি অরুণ জেটলি। বললেন, ‘‘গাঁধী পরিবার এত দিন মামলা ধামাচাপা দিতে চেয়েছিল। কিন্তু নরেন্দ্র মোদীই সিট গঠন করেন। এ দিনের রায় তারই পরিণাম।’’ সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্তেরা দোষী মনে করেন এমন এক নেতা আজ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন।’’ নাম না করলেও জেটলি যে কমল নাথের কথা বলেছেন তা নিয়ে সন্দেহ ছিল না কারও। বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত পাত্র জানিয়ে দেন, ‘‘শিখ-বিরোধী দাঙ্গার তদন্তের জন্য গঠিত নানাবতী কমিশনে কমল নাথের নামও উঠেছিল।’’ অকালি নেত্রী হরসিমরত কৌর বাদল স্পষ্টই বললেন, ‘‘এ বার জগদীশ টাইটলার, কমল নাথ এবং গাঁধী পরিবারের সদস্যদের পালা।’’ গাঁধী পরিবারকে নিশানা করে মোদীকে ‘ধন্য-ধন্য’ করলেন অমিত শাহও। কমল নাথকে মুখ্যমন্ত্রী করায় অনশনে বসলেন দিল্লির এক বিজেপি নেতা। সজ্জনকে কংগ্রেস থেকে বার করার দাবি তুললেন।
নানাবতী কমিশনে কয়েক জন অভিযোগকারীর হলফনামায় কমল নাথের নাম ছিল। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর হয়নি। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পরে কমল নাথ বলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর নেই, চার্জশিট নেই। আজ কেন আমার নাম তোলা হচ্ছে? এর পিছনে তো বিরোধীদের হাত স্পষ্ট।’’ এ দিনের রায়ে উল্লেখ আছে গুজরাত দাঙ্গারও। কপিল সিব্বল, অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির মতো কংগ্রেসের আইনজীবী নেতারা বললেন, ‘‘গুজরাত দাঙ্গার মামলায় মায়া কোডনানির জন্য সাক্ষ্য দিতে কে গিয়েছিলেন? অমিত শাহ। আর সেই মামলায় যাঁর নাম জড়িয়েছিল, তিনি আজ দেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি কি দায় নেবেন?’’ সজ্জনকে বার করার দাবি নিয়ে কংগ্রেস নেতাদের বক্তব্য, ‘‘সজ্জন কোনও পদে নেই। তাঁকে প্রার্থীও করা হয়নি। বিজেপি যদি রাজনীতিই করতে চায় তবে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহও জবাব দিন।’’ পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: শিখ-হত্যায় শাস্তি কংগ্রেস নেতার
কংগ্রেসের আরও দাবি, সঙ্ঘ-ঘনিষ্ঠ নেতা রামকুমার জৈনের বিরুদ্ধেও শিখ-বিরোধী দাঙ্গায় জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল।