এখন রাজ্যসভার সাংসদ মানিক। —ফাইল চিত্র
বিপ্লব দেবের পরে মানিক সাহা। দলের রাজ্য সভাপতিকেই পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বাছল বিজেপি। পেশায় চিকিৎসক মানিক এখন রাজ্যসভার সাংসদ। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর ছ’মাসের মধ্যে তাঁকে কোনও বিধানসভা আসন থেকে জিতিয়ে আনতে হবে। তবে সেটা খুব একটা কঠিন হবে না বিজেপির পক্ষে। ৬০ আসনের ত্রিপুরায় বিজেপি গত বিধানসভা নির্বাচনে ৪৪টিতে জয় পেয়েছিল। তারই কোনও একটি থেকে মানিকের জয় নিশ্চিত করতে হবে বিজেপিকে।
শনিবার বিকেলে আচমকাই পদত্যাগ করেন বিপ্লব। শুক্রবার দিল্লিতে তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন। ফিরে এসেই তাঁর পদত্যাগের পরে মনে করা হচ্ছিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশই পালন করেছেন তিনি। বিপ্লবের ইস্তফার পর থেকেই জল্পনা শুরু হয়ে যায় কে হবেন পরের মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে বসেন বিজেপি নেতৃত্ব এবং ত্রিপুরার পরিষদীয় দল। তবে বিজেপি সূত্রে খবর, আগেই মানিকের নাম চূড়ান্ত করে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে মানিকের সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মণ। তবে চারিলাম আসনের বিধায়ককে পিছনে ফেলে এগিয়ে গেলেন মানিক। গত এপ্রিল মাসেই রাজ্যসভায় গিয়েছেন মানিক। শপথ নেন ৩ এপ্রিল। সাংসদ জীবনের দু’মাস পূর্ণ হওয়ার আগেই মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন তিনি।
মানিকের নাম ঘোষণা হতেই ত্রিপুরার মনে আসতে পারে এক প্রাক্তনের কথা। ১৯৯৮ থেকে ২০১৮ দু’দশক রাজ্যে বাম সরকারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন মানিক সরকার। সেই সরকারকে সরিয়েই বিপ্লব এসেছিলেন। আবার বিপ্লব সরে যেতে এলেন আর এক মানিক।