করিমগঞ্জ পুরসভার সামনে বিজেপির ধর্না। মঙ্গলবার। ছবি: শীর্ষেন্দু সী।
একই দাবি, ধর্নাস্থলও কার্যত এক। কিন্তু ভিন্ন মেরুর দু’টি দলকে পাশাপাশি আন্দোলন করতে দেখে জল্পনা ছড়াল করিমগঞ্জে। বিজেপি ও বামদলের সদস্য-সমর্থকদের সেই বিক্ষোভে উত্তাল হল পুরসভা চত্বর।
করিমগঞ্জ পুরসভার বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে জেলা বিজেপি। আজ ধর্নায় বসেছিলেন দলের সদস্যরা। কংগ্রেস পরিচালিত পুরসভায় বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে সরব হন তাঁরা। রাস্তার আলো কেলেঙ্কারি, বার্ধক্যভাতা-সহ বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়।
ওই একই সময়, একই দাবিতে করিমগঞ্জ জেলা সিপিআই-সিপিএম পুরপ্রধান শিখা সূত্রধর এবং উপ-প্রধান পার্থসারথি দাসকে ঘেরাও করে। সিপিএম নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক রামেন্দ্র দে এবং সিপিআই নেতা চন্দন চক্রবর্তী জানান, সন্তরবাজার নির্মাণের আড়ালে প্রলোভন দেখিয়ে স্থায়ী ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করা হয়েছে।
পুর-কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, বাজারের কিছু ব্যবসায়ীকে সন্তরবাজারের পাশের অস্থায়ী বাজারে নিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু তা করা হয়নি। কাঁচামাল বিক্রেতারা একজোট হয়ে ব্যবসা না করায়, ওই গোপালজি মার্কেটে কোনও ক্রেতার দেখা মিলছে না। তাতে লোকসানের মুখে পড়ছেন সেখানকার বিক্রেতারা। বাম-প্রতিনিধিরা পুর কর্তৃপক্ষকে সন্তরবাজারের প্রবেশপথে কাঁচামাল ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদের আর্জি জানান।
বিরোধী শিবিরের খোঁচা, গত কাল মোদী সরকারের বিরুদ্ধে শ্রমজীবীদের বিপক্ষে কাজ করার অভিযোগ তুলেছিল বামেরা। আজ সেই দলেরই প্রতিনিধিরা বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদের দাবি জানিয়ে পৌরপতিকে ঘেরাও করল।
সিপিআই নেতা চন্দন চক্রবর্তী অবশ্য জানান, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদের দাবি তাঁরা জানাননি। তবে বাজারের পাশে স্থানান্তরিত হওয়া ব্যবসায়ীরা যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হন, সে জন্যই আন্দোলন করেছেন।