চিন নিয়ে সুর নরম রাওয়তের

সম্প্রতি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনা গতিবিধি নিয়ে সরব হন সেনাপ্রধান। সেই মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল বেজিং।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০১৮ ০৪:১২
Share:

কয়েক দিন আগেই চিনকে তোপ দেগেছিলেন সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়ত। ডোকলামে চিনা সেনা বড় সামরিক ঘাঁটি তৈরি করছে বলে আজই দাবি করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের একাংশ। কিন্তু এ দিন চিন সম্পর্কে সুর অনেকটাই নরম করে ফেললেন রাওয়ত।

Advertisement

সম্প্রতি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনা গতিবিধি নিয়ে সরব হন সেনাপ্রধান। সেই মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল বেজিং। চিনা বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, ডোকলাম সমস্যার পরে দু’দেশ ফের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে। কিন্তু ভারতীয় সেনাপ্রধানের এমন মন্তব্যে ফের সমস্যা তৈরি হতে পারে। আজ আবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের একাংশ দাবি করে, ভারত-চিন-ভুটান সীমান্তের ডোকলামে বড় ধরনের সামরিক কমপ্লেক্স তৈরি করছে বেজিং। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত কিছু উপগ্রহ চিত্রে সেই কমপ্লেক্সের অবস্থানও দেখানো হয়েছে।

আজ রাষ্ট্রপতি ভবনে রাইসিনা আলোচনা প্রক্রিয়ায় যোগ দিতে যান সেনাপ্রধান। সেখানেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘দু’দেশের সম্পর্ক ডোকলাম সমস্যার আগে যে স্তরে ছিল সেই স্তরে ফিরে গিয়েছে। ফলে আপাতত তেমন সমস্যা হবে বলে মনে হয় না।’’ ডোকলামে যে চিনা সেনা এখনও রয়েছে তা মেনে নিয়েছেন রাওয়ত। তাঁর দাবি, চিনা সেনাদের সংখ্যা এখন অনেক কম। তাদের হাতে যে পরিকাঠামো রয়েছে তার বেশিরভাগটাই অস্থায়ী। রাওয়তের আশ্বাস, ‘‘ভারতীয় সেনাও ওই এলাকায় রয়েছে। পরিস্থিতি প্রতিকূল হলে তার মোকাবিলা করা হবে।’’

Advertisement

নাম না করে আজ পাকিস্তানকে নিশানা করেছেন রাওয়ত। তাঁর কথায়, ‘‘জঙ্গিরা উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। যে সব দেশ জঙ্গিদের মদত দেয় সেই সব দেশেরও মোকাবিলা করা প্রয়োজন।’’ এই প্রসঙ্গেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জঙ্গিদের কার্যকলাপ সম্পর্কেও মুখ খুলেছেন তিনি। তাঁর মতে, যে সব সোশ্যাল মিডিয়া সাইট জঙ্গিরা প্রায়শই ব্যবহার করে সেগুলির উপরে কিছু নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখা প্রয়োজন। রাওয়তের বক্তব্য, ‘‘গণতান্ত্রিক দেশে এই ধরনের নিয়ন্ত্রণ অনেকেই পছন্দ করবেন না। কিন্তু ভাবতে হবে, নিরাপত্তার প্রয়োজনে সাময়িক নিয়ন্ত্রণ মেনে নেওয়া যায় কি না।’’

সেনাপ্রধানের আক্ষেপ, সেনার আধুনিকীকরণের প্রক্রিয়ায় অনেক বেশি সময় লাগছে। এখন বাহিনীর প্রচুর নজরদারির সরঞ্জামের প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন। ঘটনাচক্রে এ দিনই প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সংগ্রহের প্রক্রিয়া সহজ করার কথা জানিয়েছে কেন্দ্র। প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সংগ্রহ প্রক্রিয়ার ‘মেক-২’ শ্রেণিতে পরিবর্তন ঘটিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। ওই শ্রেণিভুক্ত উপকরণ তৈরিতে কোনও সরকারি বিনিয়োগ হয় না। এই ধরনের উপকরণের ক্ষেত্রে এখন থেকে কোনও স‌ংস্থা সরাসরি সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে। এত দিন প্রয়োজনে বাহিনীর তরফে যোগাযোগ করা হত। এই সিদ্ধান্তে খুশি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনকারী সংস্থাগুলি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement