বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখল বম্বে হাইকোর্ট। এই মামলায় ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল নিম্ন আদালত। বৃহস্পতিবার সেই শাস্তি বহাল রাখল হাইকোর্ট।
গোধরা কাণ্ডের পরে ২০০২ সালে ৩ মার্চ আমদাবাদের কাছে রনধিকপুর গ্রামে বিলকিস বানোর পরিবারের উপর হামলা চালায় এক দল দুষ্কৃতী। ধর্ষণ করা হয় গর্ভবতী বিলকিসকে। ধর্ষণ করা হয় তাঁর মা এবং বোনকেও। খুন করা হয় বিলকিসের পরিবারের সাত সদস্যকে। ওই ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ বিলকিসের পরিবারের আরও ছয় সদস্য।
২০০৮ সালের ২১ জানুয়ারি বিশেষ আদালত এই মামলায় ১২ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। দোষীদের মধ্যে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি ১১ জন এই শাস্তির বিরুদ্ধে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। সিবিআই-ও এই ১১ জনের মধ্যে যশবন্তভাই নাই, গোবিন্দভাই নাই এবং শৈলেশ ভট্টকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার আবেদন জানায়। সিবিআই-এর দাবি, বিলকিসকে গণধর্ষণের ঘটনায় এই তিন জন সরাসরি জড়িত। সিবিআই-এর সেই আবেদন খারিজ ১১ জনেরই যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রাখল বম্বে হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: হিরের টুকরো যতীন যেন দ্বিতীয় মাল্য
এই মামলায় ৫ পুলিশ এবং ২ চিকিৎসককে বেকসুর খালাস দিয়েছিল নিম্ন আদালত। তাদেরও রেহাই দেয়নি হাইকোর্ট। কর্তব্যে গাফিলতি এবং প্রমাণ লোপাটের ঘটনায় তাদের
দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। আট সপ্তাহের মধ্যে তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট।
এ দিন রায় বেরনোর পরে বিলকিস বলেন, ‘‘দোষীরা সাজা পাওয়ায় আমি খুশি। দেশের আইন ব্যবস্থার উপর আমার ভরসা ছিল।’’ বম্বে হাইকোর্টের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন কংগ্রেস এবং মানবাধিকার কর্মী তিস্তা শেতলওয়াড়।