—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
রাজ্যে মদপ্যান নিষিদ্ধ করা দেওয়া হয়েছে বেশ কয়েক বছর আগে। সেই ‘শুকনো’ বিহারের এক স্কুলেই টলতে টলতে ঢুকলেন শিক্ষক। ভাসা ভাসা চোখে ছাত্রছাত্রীদের দিকে তাকিয়ে ঘোষণা করলেন, ‘‘আজ ছুটি’’। ঘটনার রেশ গড়াল থানাপুলিশ পর্যন্ত।
বিহারের রোহতাস জেলার নৌহট্ট এলাকার একটি স্কুলের ঘটনা। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম রবি শঙ্কর ভারতি। ওই স্কুলে মোট চার জন শিক্ষক রয়েছেন। ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১৮৫ জন। বুধবার সকালে স্কুলে প্রথম ঢোকেন ওই শিক্ষকই। তিনি স্কুল ছুটি বলে ঘোষণা করে দেওয়ার পর ছাত্রছাত্রীরা বাড়ি ফিরে যায়। তাদের কাছ থেকে ঘটনার বিবরণ শুনে স্কুলে চড়াও হন অভিভাবকেরা। তাঁরা দেখেন, স্কুল ফাঁকা করে দিয়ে চেয়ারে শুয়ে আছেন শিক্ষক।
অভিভাবকেরা শিক্ষকের দশা দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁকে সকলে মিলে ধরে নিয়ে যান থানায়। নৌহট্টর এসএইচও কেয়ামুদ্দিন জানিয়েছেন, মত্ত অবস্থায় ওই শিক্ষককে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে এবং পরের দিন আদালতে হাজির করে।
ওই স্কুলের এক ছাত্রীর অভিভাবক আনন্দ কুমার বলেন, ‘‘মেয়েকে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে আসতে দেখে আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। ও এসে বলল, শিক্ষক ওদের ছুটি দিয়ে দিয়েছে। অন্য অভিভাবকদের কাছেও একই কথা শুনলাম। তার পর আমরা একসঙ্গে স্কুলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই।’’
বিহারের আইন অনুযায়ী, মদ খেতে গিয়ে প্রথম বার কেউ ধরা পড়লে তাঁকে জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হয়। ওই শিক্ষককেও পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ব্লক শিক্ষা আধিকারিক অভিযুক্তকে সাসপেন্ড করার সুপারিশ করেছেন। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারেই দেখছে প্রশাসন।