Bihar

Khan Sir: রেলে নিয়োগ ঘিরে বিহারে হিংসার ঘটনায় অভিযোগ দায়ের ‘খান স্যর’-এর বিরুদ্ধে, কে তিনি

গত ২৬ জানুয়ারি হিংসায় জ্বলে উঠেছিল বিহার। ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া, রেলের সম্পত্তি ভাঙচুর চালানোর মতো ঘটনা ঘটান পরীক্ষার্থীরা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

পটনা শেষ আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২২ ১৮:২৮
Share:

খান স্যর (বাঁ দিকে)। ২৬ জানুয়ারিতে বিক্ষোভে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল পটনা।

রেলের নিয়োগে দুর্নীতি ঘিরে গত ২৬ জানুয়ারি হিংসায় জ্বলে উঠেছিল বিহার। ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া, রেলের সম্পত্তি ভাঙচুর চালানোর মতো ঘটনা ঘটান পরীক্ষার্থীরা। পটনার সেই হিংসায় মদত জোগানোর অভিযোগ উঠল এ বার ইউটিউবার খান স্যরের বিরুদ্ধে। আটক হওয়া পরীক্ষার্থীদের বয়ানের উপর ভিত্তি করে ‘খান স্যর’-এর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ।

এক সাক্ষাৎকারে খান স্যর জানান, হিংসার ঘটনায় যদি তাঁর কোনও ভূমিকা থাকে তা হলে তাঁকে অবশ্যই গ্রেফতার করা উচিত। তবে এই হিংসার জন্য তিনি রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ড (আরআরবি)-কেই দায়ী করেছেন।

Advertisement

কে এই খান স্যর?

শিক্ষকতার অদ্ভুত কৌশলের জন্য জন্য পরিচিত এবং খুবই জনপ্রিয় খান স্যর। ছাত্রদের মধ্যে তিনি ‘খান স্যর’ নামেই বেশি পরিচিত। কখনওই নিজের নাম প্রকাশ্যে আনেননি। ফলে ছাত্ররাও তাঁর আসল নাম জানেন না। তবে কয়েকটি সূত্রের দাবি, খান স্যরের আসল নাম অমিত সিংহ। আবার অন্য একটি সূত্র বলছে, খান স্যরের আসল নাম ফয়জল খান। উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের বাসিন্দা।

Advertisement

কেন তিনি নিজের আসল নাম কখনও প্রকাশ্যে আনেন না? এ প্রসঙ্গে এক ব্যক্তির দাবি, খান স্যর যে কোচিং সেন্টার চালান সেখানে সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের কঠোর ভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কখনওই যেন তাঁর আসল নাম বা ব্যক্তিগত নম্বর শেয়ার না করা হয়। কয়েক জন ছাত্রছাত্রী তাঁকে খান স্যর বলে ডাকা শুরু করেন। সেই থেকেই তিনি সকলের ‘খান স্যর’। তবে খান স্যর নাকি সকলকে একটি কথাই বলেছেন, ‘যখন সময় আসবে ঠিক আমার আসল নাম জানতে পারবেন।’

তার পড়ানোর পদ্ধতিতেই মশগুল ছাত্রছাত্রীরা। নাম নিয়ে কেউই খুব একটা আগ্রহ দেখান না। ফলে মুখে মুখে ঘুরে বে়ড়ানো খান স্যর নামেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন তিনি। পটনাতে ‘খান জিএস রিসার্চ সেন্টার’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান চালান তিনি। ইউটিউবে প্রতিনিয়তই তাঁর পড়ানোর ভিডিয়ো শেয়ার করেন। তাঁর পড়ানোর অদ্ভুত কৌশলের জন্য শুধু পটনাই নয়, গোটা দেশে খ্যাত এই স্যর।

এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর করেছেন খান স্যর। তাঁর বাবা এক জন সেনাকর্তা ছিলেন। মা গৃহিণী। তাঁর এক দাদা সেনাতেই কমান্ডো পদে রয়েছেন। জানা গিয়েছে, শৈশব থেকেই পড়াশোনায় ভাল খান স্যর। এনডিএ পরীক্ষায় পাশ করেছেন। কিন্তু নির্বাচিত হননি। বর্তমানে পটনায় কোচিং করান। ইউটিউব চ্যানেলও রয়েছে তাঁর।

গত ১৫ জানুয়ারি রেলের নন-টেকনিক্যাল পপুলার ক্যাটিগরি (এনটিপিসি)-র পরীক্ষার প্রথম ধাপ বা সিবিটি-১ (কম্পিউটার বেসড টেস্ট) এর ফলাফল প্রকাশ করে রেল নিয়োগ বোর্ড। জানানো হয় সিবিটি-২-এর পরীক্ষা শুরু হবে ১৫ ফেব্রুয়ারি। বিক্ষোভের সূত্রপাত হয় তার পরেই। পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, ২০১৯ সালে ওই পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি যখন প্রকাশ হয়েছিল, সে সময়ে শুধু সিবিটি-১ এর কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু ফলপ্রকাশের পরে সিবিটি-২-এর কথা ঘোষণা করেছে রেল। যা নিয়মবিরুদ্ধ। এর পিছনে রেলের আধিকারিকদের দুর্নীতি ও অনিয়ম রয়েছে— এই অভিযোগে সরব হয়ে পথে নামেন পরীক্ষার্থীরা। বিহার হয়ে সেই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন প্রান্তে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement