সাহাবুদ্দিনের জামিনের বিরুদ্ধে আবেদন বিহারের

বাহুবলী নেতা মহম্মদ সাহাবুদ্দিনকে ফের জেলে পাঠাতে তৎপর হল বিহার সরকার। আজ রাজ্য সরকারের তরফে সুপ্রিম কোর্টে সাহাবুদ্দিনের জামিন খারিজের আবেদন করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, সাহাবুদ্দিনের অপরাধের ইতিহাসের প্রেক্ষিতে কোনও ভাবেই জামিন দেওয়া উচিত নয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পটনা শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৩:৩৮
Share:

বাহুবলী নেতা মহম্মদ সাহাবুদ্দিনকে ফের জেলে পাঠাতে তৎপর হল বিহার সরকার। আজ রাজ্য সরকারের তরফে সুপ্রিম কোর্টে সাহাবুদ্দিনের জামিন খারিজের আবেদন করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, সাহাবুদ্দিনের অপরাধের ইতিহাসের প্রেক্ষিতে কোনও ভাবেই জামিন দেওয়া উচিত নয়। এ দিনশীর্ষ আদালতে একই আর্জি জানিয়েছেন ২০০৪ সালের অ্যাসিড হত্যাকাণ্ডে হত তিন জনের বাবা চন্দ্রকেশ্বর প্রসাদও। তাঁর আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ আর্জিতে জানান, সাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে ৫৮টি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। তার মধ্যে ৮টি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন সাহাবুদ্দিন। দু’টিতে তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও হয়েছে। তা সত্ত্বেও তিনি জামিন পেয়েছেন।

Advertisement

পাশাপাশি সাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারও। গত কাল সন্ধ্যায় সাংবাদিক রাজদেও রঞ্জন হত্যাকাণ্ডে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। ওই ঘটনায় সাহাবুদ্দিনের জড়িত থাকার অভিযোগ করেছেন স্ত্রী আশা রঞ্জন।

গত ১০ সেপ্টেম্বর পটনা হাইকোর্ট থেকে জামিন পান সাহাবুদ্দিন। এর পরে ভাগলপুর জেল থেকে মুক্তিও পেয়েছেন তিনি। তার পরেই মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে আক্রমণ করেন। জানিয়ে দেন তাঁর নেতা লালুপ্রসাদ। তার পরেই বিহারের শাসক জোটে লড়াই শুরু হয়। জেডিইউ-আরজেডি নেতারা পরস্পরকে আক্রমণ শুরু করেন। গোটা পরিস্থিতি কোনও মতে সামাল দেন লালুপ্রসাদ।

Advertisement

তবে সাহাবুদ্দিনের অনুগামীরাও সহজে হার মানতে রাজি নন। আরজেডির অন্দরমহলে চাপ তৈরি করতে সক্রিয় হয়েছেন তাঁরা। ভাগলপুরের আরজেডি সাংসদ তথা দলের যুব সভাপতি শৈলেশ ওরফে বুলো মণ্ডল সাহাবুদ্দিনের কাছের লোক বলেই পরিচিত।এ দিন তিনি বলেন, ‘‘সাহাবুদ্দিন অপরাধী নন। তিনি সমাজসেবক।’’ শৈলেশের কথায়, ‘‘লালুপ্রসাদ আমাদের সকলের নেতা। নীতীশ কুমার জোটের নেতা। বিজেপি রাজনৈতিক লাভের জন্য অপপ্রচার করছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement