বিহারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী বিহারের ৩৮টি জেলে তাদের বন্দি রাখার ক্ষমতার দ্বিগুণ সংখ্যক বন্দি রয়েছেন। প্রতীকী ছবি।
অপরাধীদের রাখার জায়গা নেই বিহারের জেলে! অবস্থা এতটাই সঙ্গিন যে— নতুন কাউকে জেলে পাঠানো হলে, এ বার পুরনো বন্দিদের জেল থেকে বার করতে হবে! বিহারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে প্রকাশিত একটি তথ্যে বিষয়টি স্পষ্ট। তাতে দেখা যাচ্ছে বিহারের ৫৯টি জেলে যেখানে বড়জোর ৪৭ হাজার ৭৫০ জন বন্দি থাকতে পারেন, সেখানে এই মুহূর্তে রয়েছেন প্রায় ৬২ হাজার বন্দি। এর মধ্যে কোনও কোনও জেলে ক্ষমতার তিন গুণ বেশি বন্দিও রয়েছেন। তবে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা জামুইয়ের কারাগারের। ১৮৮ জন বন্দি রাখার ক্ষমতাসম্পন্ন এই জেলে এখন রয়েছেন ৮২২ জন বন্দি। অর্থাৎ, ক্ষমতার চার গুণেরও বেশি বন্দি রয়েছেন এই জেলে।
সম্প্রতিই বিহার সরকার ১৪ বছরের বেশি সময় ধরে জেলে থাকা বন্দিদের মুক্তির বিষয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে। ইতিমধ্যে ২৭ জন বন্দিকে মুক্তির সিদ্ধান্তও জানিয়েছে তারা। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত শুরুতেই পড়েছে বিতর্কের মুখে। এঁদের মধ্যে বেশ কয়েক জন খুনের আসামি হওয়ায় তাদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত কতটা বিবেচনা করে নেওয়া হয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
এ দিকে, বিহারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী বিহারের ৩৮টি জেলে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ সংখ্যক বন্দি রয়েছেন। ১০ এপ্রিল পর্যন্ত নেওয়া হিসাব অনুযায়ী ৫৯টি জেলে মোট বন্দির সংখ্যা ৬১ হাজার ৮৯১ জন। এর মধ্যে পুরুষ বন্দি ৫৯ হাজার ২৭০ জন। মহিলা বন্দি ২ হাজার ৬২১ জন। সবচেয়ে বেশি বন্দি রয়েছেন পটনার আদর্শ সেন্ট্রাল জেলে। ২৩৬০ জন বন্দি রাখার ক্ষমতা সম্পন্ন এই জেলে এই মুহূর্তে ৫ হাজার ৮৪১ জন বন্দি রয়েছেন।